প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে ‘‘তারা যা খুশি বলতে পারছে'' দাবি করলেও মাত্র এক মাস ৮ দিন আগে ঢাকায় মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তেমন কোনো তথ্য বা বক্তব্য উঠে আসেনি৷ বরং সেখানে দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বক্তব্যে উঠে আসে সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করার পর তিন সাংবাদিকের চাকরি চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, ‘‘যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, সে দেশে আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি৷ এর দায় সরকারকে দেবো, না কাকে দায় দেবো জানি না৷ সাংবাদিক ইউনিয়ন কী করছে বা আমাদের সম্পাদক পরিষদ কী করেছে, আমি মনে করি, আমরাও ব্যর্থ হয়েছি৷ গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়৷ আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে, প্রশ্ন করতে দিতে হবে৷ তাহলেই গণমাধ্যম মুক্তির স্বাদ পাবে৷''
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ)-এর সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন তো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে৷ বিশেষ করে মব সন্ত্রাস৷ কেউ কিছু লিখলে, সেটা তাদের বিরুদ্ধে গেলে কয়েকজন মিলে মব সৃষ্টি করছে৷ আগে যেমন ডিজিএফআই থেকে ফোন করা হতো, এখন সেখানে এসেছে মব৷ ফলে পরিস্থিতি বদলায়নি৷ সরকারও এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতিতে সাংবাদিকদের রাখতে চেয়েছে৷ সেক্ষেত্রে তো তারা সফল হয়েছে৷ শুধু তো এখানেই শেষ না, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হচ্ছে, প্রেসক্লাবের সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি বিরুদ্ধে লেখার কারণে চাকরিও হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা৷ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করার কারণেও অনেকের চাকরি গেছে৷''