কুয়েতে মৃত ৪০ ভারতীয়র মধ্যে ২৪ জনই কেরালার
১৩ জুন ২০২৪আগামী মাসেই কেরালায় ফেরার কথা ছিল কাসারগড়ের রজনিথের। দেড় বছর আগে নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশে এসেছিলেন রজনিথ। তারপর আর আসেননি। তিনি বাড়ি ফেরার জন্য টিকিট বুক করেছিলেন।
তবে রজনিথের আর আসাও হবে না। তার নিথর পোড়া দেহটা আসবে। কুয়েতে ভয়াবহ আগুনে যে ৪০ জন ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে একজন রজনিথ।
শুধু রজনিথ একা নন, কেরালার মোট ২৪ জন মানুষ, যারা কাজের জন্য কুয়েতে গেছিলেন, তারা আগুনে পুড়েবা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
যেমন চেন্নারসেলি সাজু ভার্গিজ। ৬৫ বছর বয়সি কেরালার এই মানুষটি গত ২২ বছর ধরে কুয়েতে চাকরি করতেন। আগুন তাকেও গ্রাস করেছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জকে কুয়েতে পাঠাচ্ছেন, মরদেহ কেরালার নিয়ে আসার জন্য এবং আহতদের চিকিৎসা যাতে ঠিকভাবে হয়, তা দেখার জন্য।
কেন কুয়েতে এত কেরালার শ্রমিক?
কুয়েতে প্রায় ছয় লাখ ৩৫ হাজার কেরালার মানুষ বিভিন্ন কাজ করেন। কেরালার সবচেয়ে বেশি মানুষ যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তারপর কুয়েতে, কারণ ওই দেশে শ্রমিকেরা ভারতের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ বেশি পরিমাণ অর্থ পান।
পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্য রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ চাষের কাজ করতে বা শ্রমিক হিসাবে প্রতিবছর কেরালায় যান। তারা সেখানে দিনে ছয়শ থেকে আটশ টাকা পান। আর মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকেরা অনেক বেশি টাকা কামাতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট বলছে, কুয়েতে কেরালার যারা মারা গেছেন, তারা কোল্লাম, কাসারগড়, মালাপ্পুরম, কোট্টায়াম ও কান্নুরের মানুষ। তারা এনবিসিটি-র কর্মী ছিলেন। এই সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করে।
সরকার ইতিমধ্যে লোকা কেরালা সভার(প্রবাসী কেরালার মানুষদের সংগঠন) উদ্বোধনের কাজ বন্ধ রেখেছে। বৃহস্পতিবার এই উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
জিএইচ/কেএম((পিটিআই, এএনআই, নিউজ১৮)