কুয়েটে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সব রাজনৈতিক সংগঠনকে লাল কার্ড
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ ছাত্রলীগ,ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ সব রাজনৈতিক দল এবং কুয়েট প্রশাসনকে লালকার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে৷
দুর্বার বাংলা চত্বরে বিক্ষোভ
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে কুয়েটের দুর্বার বাংলা চত্বরে তারা লাল কার্ড দেখান ও বিভিন্ন স্লোগান দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷
স্লোগানে মুখর ক্যাম্পাস
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা এই কুয়েটে হবে না’, ‘নো ছাত্রদল, নো ছাত্রশিবির, নো বৈবিছাআ, অনলি ছাত্র’; 'রক্ত যখন ঝরছিল, প্রশাসন তখন কই ছিল?, ‘উই ওয়ান্ট নলেজ নো পলিটিকাল ড্যামেজ’, ‘শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরে, প্রশাসন তামাশা করে’, ‘বহিষ্কার বহিষ্কার জড়িতদের বহিষ্কার’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’- এসব প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে স্লোগান দেন৷
মূল দাবি
দাবি করা হয়, মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের যারা জড়িত, তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে৷ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে, সেটাকে পরিবর্তন করে অর্ডিন্যান্স করতে হবে, যাতে কেউ আদালতে গিয়েও ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার ফিরে না পায়৷ পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কর্মসূচি পালনকারীরা৷ মিছিলটি কুয়েটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দুর্বার বাংলায় ফিরে শেষ হয়৷
প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছয় দফা দাবি দেয়া হলেও কুয়েট প্রশাসন সেটা পূর্ণাঙ্গ রূপে মানেনি৷ এ কারণে কুয়েটের ভিসি, প্রোভিসি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জন করা হয়৷ লাল কার্ড দেখানোর কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাই তারা নতুন প্রশাসন চান৷ তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে৷
অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ বুধবার রাতে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়৷ কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেন৷
১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা
১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে৷ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন৷এর আগে বুধবার কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয় সেদিন৷