কুম্ভমেলায় মৃতার দেহ আনা হলো কলকাতায়
কুম্ভমেলায় সঙ্গমে স্মান করতে গেছিলেন বাসন্তী পোদ্দার। মৌনী অমাবস্যায় তার স্নান করা হয়নি। পদপিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি।
বাসন্তী পোদ্দার ফিরলেন না
ছেলে, মেয়ে, দিদির সঙ্গে কুম্ভে গেছিলেন গলফ গ্রিনের বাসন্তী পোদ্দার। ছেলে, মেয়ে, দিদি ফিরে এলেও বাসন্তী আর বেঁচে ফিরতে পারলেন না। মৌনী অমাবস্য়ায় পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন তিনি। তার প্রাণহীন দেহ কলকাতায় ফিরলো। বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো তার মৃতদেহ।
কেমন করে হলো?
বাসন্তী দেবীর বোনের ছেলে প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, ''হঠাৎ করে ফোনে আসে মাসি আর নেই। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম কীভাবে মারা গেছেন? তখন ভাইপো সুরজিৎ পোদ্দার জানায়, বুধবার রাত দুটোর সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে মানুষের ভিড় আছড়ে পড়ে তাদের ওপর। বাসন্তী পোদ্দার তার ছেলে মেয়ে ও দিদি চারজনেই মাটিতে পড়ে যায়। বাসন্তী পোদ্দার এর ছেলে, মেয়ে ও দিদি সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ে কিন্তু বাসন্তী পোদ্দার আর উঠতে পারেননি।''
কী বললেন দিদি?
দিদি পুস্পা সাহা জানিয়েছেন, বললেন, ''আমরা পড়ে যাবার পর মানুষ আমাদের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। কিছু মানুষ যারা পড়ে গেছে তাদেরকে তোলার চেষ্টা করছিল তখন আমরা চিৎকার করি বাঁচাও বাঁচাও বলে তখন কিছু মানুষ আমাদের হাত ধরে তুলে নেয় এবং আমরা ওখান থেকে ;ns যাই।''
ছেলে যা বললেন
বাসন্তী পোদ্দারের ছেলে সুরজিৎ পোদ্দারের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের সরকারের পক্ষ থেকে মায়ের ডেথ সার্টিফিকেটই দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ বা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছিল না এবং তার মায়ের দেহ উদ্ধার হয় দেড় ঘন্টা পর।
শোকস্তব্ধ স্বামী
বাসন্তী পোদ্দারের স্বামী রবীন্দ্রনাথ পোদ্দার পেশায় হকার। পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে স্ত্রীর মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। তারপর থেকে তিনি শোকস্তব্ধ।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরো একজন মৃত
বাসন্তী পোদ্দার ছাড়াও কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পশ্চিমবঙ্গের আরো একজন বৃদ্ধা মারা যান। মৃত্যু ঘটে উর্মিলা ভূঁইয়া, মেদিনীপুরের সালবনির বাসিন্দা। তার বয়স ছিল ৭৮। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেয়ে এবং জামাইের সঙ্গে পূণ্যস্নানের সাধ পূরণ করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন ঊর্মিলাদেবী। তবে স্নানের আগেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সাহায্যে বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর দেহ আনা হবে খড়গপুর শহরে।