কুম্ভমেলার জন্য বাড়ি ছাড়ার নোটিস মুসলিমদের
৪ জানুয়ারি ২০২৩১২ বছর পর পর পূর্ণ কুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে কুম্ভ একটি গুরুত্বপূর্ণ মেলা এবং উৎসব। ২০২৮ সালে এই মেলা হবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ীনীতে। সেখানে শিপ্রানদীর ধারে মেলাপ্রাঙ্গন এই শিপ্রা নদীর ধারেই গুলমোহর কলোনিতে মুসলিমদের বসবাস। অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভার তরফে তাদের উঠে যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কুম্ভমেলার জন্য ওই অঞ্চলের সংস্কার করা হচ্ছে। ফলে উঠে যাবে গুলমোহর কলোনির বাসিন্দাদের।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। বিকল্প জায়গারও ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও প্রশাসনের বক্তব্য, বিকল্প জায়গার কথা বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একসময় চাষের জমি ছিল ওই অঞ্চলে। কিন্তু ভালো ফসল না হওয়ায় পরে তা বসবাসের জন্য খুব কম টাকায় বিক্রি করা হয়। যারা এখন সেখানে থাকেন, তারা দাম দিয়ে ওই জমি কিনেছিলেন।
গুলমোহর কলোনির বাসিন্দা শাকিল উর রহমানের অভিযোগ, ''ঋণ করে এই জমি কিনে বাড়ি তৈরি করতে হয়েছে। এখন উঠে গেলে থাকবো কোথায়? সরকার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি।'' বস্তুত, এলাকার অধিবাসীদের বক্তব্য, মুখে বললেও উৎখাতের নোটিস দেওয়া কাউকেই বিকল্প জমি বা ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকার।
বিষয়টি নিয়ে ভোপালের গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছেন বাসিন্দারা। নেতারা তাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
ভোপালের প্রশাসনের এক কর্মকর্তা অবশ্য ডয়চেভেলেকে বলেছেন, বিকল্প জায়গা দিয়ে তবেই ওই বাসিন্দাদের উৎখাত করা হবে। নদীর ধারে ওই জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বস্তুত, ২০২৮ সালের কুম্ভমেলার জন্য শিপ্রা নদী সংলগ্ন অঞ্চল নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। গুলমোহর কলোনির ওই অঞ্চলও প্রকল্পের ভিতরে পড়ছে বলে জানানো হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, ইটিভি ভারত)