কাশ্মীরে আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে
গত দুই সপ্তাহে রাজৌরিতে সন্ত্রাসী হানায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই সেখানে আরো প্রায় দুই হাজার আধাসেনা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
দুই সপ্তাহে দুইটি ঘটনা
রাজৌরিতে পরপর দুই সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদীরা দুইবার আক্রমণ শানিয়েছে। কয়েকটি হিন্দু পরিবারের উপর আক্রমণ করেছে তারা। দুই বাচ্চা-সহ ছয়জন মারা গেছেন। তারপরেই এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আধা সামরিক বহিনীর আরো সদস্যকে পাঠানো হচ্ছে কাশ্মীরে।
রোববারের ঘটনা
রোববার দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী আপার ডাঙ্গরি গ্রামে তিনটি বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতে চারজন মারা যান। কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরপরই পুরো গ্রাম নিরাপাত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছে।
ব্যাপক তল্লাশি অভিযান
রাজৌরিতে এখন সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। প্রচুর পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী ও সেনার জওয়ানরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
কেন্দ্রের নির্দেশ
কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে হবে। সেইমতো তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনো তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
৭০ হাজার সিআরপিএফ
কাশ্মীর উপত্যকায় এখন ৭০ হাজার সিআরপিএফ মোতায়েন করা আছে। এখন সেই সংখ্যাটা আরো কিছুটা বাড়বে।
প্রবল প্রতিবাদ
এই দুই ঘটনার পর রাজৌরি জেলায়. মানুষ প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে এনডিটিভি-র রিপোর্ট। এর আগে যখন পরপর কাশ্মীরি পন্ডিতদের হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারাও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। উপরের ছবিটি সেই বিক্ষোভের।