কাশ্মীর সংকটের সমাধান চায় ভারত-পাকিস্তানের জনগন
১৭ জুলাই ২০০৮১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে বিরোধ চলছে তার অন্যতম একটি কারণ এই কাশ্মীর৷ দু দেশের বিরোধে এক সময়ের ভু স্বর্গ বলে খ্যাত এ অঞ্চল এখন বিশ্বের অন্যতম ঝুকিপূর্ণ এলাকা৷ তবে দুই দেশের শাসকদের চেয়ে জনগনের চিন্তা অনেকটাই আলাদা৷ তারা চান এ অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান৷ এমনকি কাশ্মীরের জনগন যদি চায় তাহলে এ অঞ্চলের স্বাধীনতার বিষয়টিও মেনে নিতে প্রস্তুত দুই দেশের বেশীরভাগ জনগন৷ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড পাবলিক ওপিনিয়ন নামে একটি সংগঠন এ বিষয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে৷ জরিপে ভারত ও পাকিস্তানের দুই হাজারের বেশী লোকের কাছ থেকে মতামত নেয়া হয়৷ এতে প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাবে চারটি মতামত দেয়া হয়েছে৷ সেগুলো হচ্ছে আকাংখিত, গ্রহণযোগ্য, সহনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য৷ বেশীরভাগ অংশগ্রহণকারীরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষয়টিকে সহনীয় বা তার চেয়ে বেশী বলেছেন৷ অর্থাত্ বেশীরভাগ উত্তরদাতা কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষয়টিকে মেনে নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ এ ব্যাপারে সংগঠনটির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ক্লে রামসে বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের যে গভীর বিরোধ রয়েছে সেটি কিন্তু এ দুদেশের জনগনকে তাদের পেছনে তেমনভাবে নিয়ে আসতে পারছে না৷ বরং অনেকেই এ বিষয়টিকে আরও উদারভাবে সমাধান করার পক্ষে মত দিয়েছেন৷
জরিপে পাকিস্তানী উত্তরদাতাদের দুই তৃতীয়াংশই কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য কিংবা তার চেয়ে বেশী বলেছেন৷ অপরদিকে ভারতীয় উত্তরদাতাদের অর্ধেক কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিপক্ষে মতামত দেননি৷ গবেষকদের মতে, কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিরোধী অংশ সংখ্যায় অল্প হলেও মুলত দুই দেশেই তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরালো এবং নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাদের প্রভাব অনেক বেশী৷ তাই এখন পর্যন্ত এ সমস্যাটির সমাধান অনেকটা অসম্ভবের পর্যায়ে রয়ে গেছে৷
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীর দুভাগ হয়ে যাওয়াটাকেও মেনে নিতে নারাজ বেশীরভাগ উত্তরদাতা৷ পাকিস্তানী উত্তরদাতাদের ৫২ শতাংশ ও ভারতীয় উত্তরদাতাদের ৪২ শতাংশ কাশ্মীরকে দুদেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার বিরোধীতা করেছেন৷ একই সঙ্গে জরিপে অংশ নেয়া অর্ধেক লোক মনে করেন দু দেশের যৌথ ব্যবস্থাপনায় কাশ্মীরকে চালানো অগ্রহণযোগ্য৷