কাশ্মীর নিয়ে সরকার যে ব্যবস্থা নেবে সমর্থন করবো: রাহুল
২৪ এপ্রিল ২০২৫দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সর্বদলীয় বৈঠকের পর বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ''সরকার যে কোনো অ্যাকশন নিতে পারে। বিরোধীরা সরকারকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে।''
রাহুল বলেছেন, ''সব দলের নেতা ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিরোধীরা সরকারকে পুরো সমর্থন করে বলেছে, তারা যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে, আমরা পাশে থাকবো।''
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ''প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সব দল সমানভাবে পহেলগামের হামলার নিন্দা করেছে। সব দল বলেছে, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা দরকার। সরকার জানিয়েছে, তারা শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।''
সরকার যা বলেছে
কেন্দ্রীয় সংসদীয়মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, ''সব বিরোধী দল বলেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা সরকারের পাশে আছে। সরকারের তরফেও বিরোধী দলের নেতাদের জানানো হয়েছে, সরকার প্রয়োজন হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে।''
তিনি বলেন, ''গত কয়েক বছর কাশ্মীর শান্তিপূর্ণ ছিল। সব রাজনৈতিক দল জানিয়েছে, কাশ্মীরে শান্তির উপর এই আঘাতে তারা বিচলিত।''
রিজিজু আরো বলেন, ''বৈঠক ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে।''
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
বিহারে গিয়ে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ''ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করবে। আক্রমণকারীরা বিশ্বের শেষপ্রান্তে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করা হবে। ন্যায় করা হবেই।''
মোদী বলেছেন, ''এই হত্যাকাণ্ড যারা করেছে এবং যারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের এমন শাস্তি দেয়া হবে, যা তারা ভাবতে পারছে না।''
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি, জর্ডার্নের রাজাসহ একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে পহেলগাম হামলা নিয়ে কথা বলেছেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা যদি আমাদের দেশের মানুষের প্রাণ নেয়, তাহলে ,তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। যখন সময় হবে, তখন ভারত কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে আমার মনে হয়।''