কাশ্মীর থেকে কলকাতায় এলো বিতান, সমীরের প্রাণহীন দেহ
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত সমীর গুহ এবং বিতান অধিকারীর দেহ ফিরলো কলকাতায়। ফিরলেন স্ত্রী এবং সন্তানরাও।
প্রাণহীন দেহ
কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগের কর্মী সমীর গুহ তার স্ত্রী শর্বরী এবং কন্যাকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গেছিলেন কাশ্মীর। বুধবারই ফিরে আসার কথা তাদের। বুধবারই কফিনে করে ফিরলো তার প্রাণহীন দেহ। শোকস্তব্ধ পরিবার এখনো জানে না কীভাবে সামলাবে এই শোক।
সপরিবারে ফ্লোরিডা যাওয়া হলো না
সুদূর ফ্লোরিডা থেকে ছুটিতে পরিবারের কাছে এসেছিলেন বিতান অধিকারী। ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীরে গেছিলেন ছুটি কাটাতে। পরিকল্পনা ছিল, এবার সপরিবারে ফ্লোরিডা ফিরবেন। তা আর হলো না।
এলো সমীরের দেহ
পহেলগামের হামলায় মৃত সমীর গুহর কফিনবন্দি শরীরও এলো কলকাতায়। পরিবারের পাশাপাশি সখের বাজারে তার প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ। পাড়ার অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন। গত পূজোতে অষ্টমীর ভোগের আয়োজক ছিলেন সমীর। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দোল উদযাপন করেছেন। তার অনুপস্থিতি মানতে পারছেন না পাড়ার কেউই।
সুরাক্ষার ঘেরাটোপে
পাহেলগামে জঙ্গিহানায় মৃত সমীর এবং বিতানের দেহ কলকাতায় ফেরান ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। সমীরের শ্যালক ডিডাব্লিউকে জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর মৃতদেহ এবং পরিজনদের কলকাতায় ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন কিছু মানুষ। ছিলেন সেনা ও পুলিশের কর্মীরা। তাদের উপস্থিতিতে কফিনবন্দি দেহ নিয়ে গাড়ি বিমানবন্দর থেকে চলে যায়।
বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা
বিমানবন্দরে শ্রদ্ধা জানাবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন। তবে এরপর এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে।
ফিরলেন পরিবারের মানুষরা
বিতান অধিকারীর স্ত্রী ও ছেলে এবং সমীর গুহর স্ত্রী ও মেয়েও ফিরেছেন একই বিমানে। তারা পুরোপুরি শোকস্তব্ধ। উপরের ছবিতে সমীর গুহর স্ত্রী শবরী ও তার মেয়ে।
শেষকৃত্য সম্পন্ন
বিতান অধিকারী ও সমীর গুহর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। যে কাশ্মীর সফর ঘিরে অনেকদিনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যে কাশ্মীরে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তারা, সেই দুইটি পরিবারই এখন বিপর্যস্ত।