কলকাতায় বামেদের যুদ্ধবিরোধী ও সম্প্রীতির দাবিতে মিছিল
একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে মঙ্গলবার কলকাতায় মিছিল করলো ১০টি বামপন্থি দল৷ বিরোধিতা বিজেপি-র৷
কেন এই মিছিল?
সিপিএমসহ বামপন্থি দলগুলির দাবি, তারা সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার পক্ষে৷ একইসঙ্গে তারা যুদ্ধের জিগির তুলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধে৷ সে কারণেই তারা রাস্তায় নেমেছেন৷ তাদের দাবি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে৷
কারা অংশ নিলেন?
সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক, এসইউসিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনসহ মোট দশটি বামপন্থি দলের নেতারা এই মিছিলে ছিলেন৷ সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু, রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক মহম্মদ সেলিমসহ প্রমুখ বাম নেতারা মিছিলে অংশ নেন৷
মিছিলের পোস্টার
মিছিলে অনেকের হাতে ছিল চারটি ছবিসহ একটি পোস্টার৷ উপরের দুইটি ছবি নিক্সন ও ইন্দিরা গান্ধীর৷ উপরে লেখা ১৯৭১ সাল, তখন ভারত৷ ইন্দিরার ছবিতে লেখা লৌহমানবী৷ তার নিচে লেখা ২০২৫ সাল, এখন ভারত৷ নিচে ডনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদীর হাতজোড় করে নমস্কার করার ছবি৷ ট্রাম্পের ছবিতে লেখা ‘ব্যবসায়ী ট্রাম্প’৷ মোদীর ছবিতে লেখা ‘অবনত মোদী’৷
ছিল লোকগান
একজন লাল পাঞ্জাবি পরা লোকগান শিল্পী গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে গান গাইছিলেন৷ সেই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘‘সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের প্রাণঘাতী হামলার বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এক হও’’৷
ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ
যুদ্ধবিরোধী এই মিছিল ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যায়৷ অনেক বাম কর্মী ও সমর্থক এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন৷
সামনে থাকা নিয়ে হুড়োহুড়ি
মিছিলের সামনে কারা থাকবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি হয়৷ তখন বিমান বসু ঘোষণা করেন, সকলে প্রথম সারিতে থাকবেন না৷ তিনটি সারি হবে৷ তারপর হুড়োহুড়ি থামে৷
কী বললেন সেলিম?
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছে, শান্তির কথা, ঐক্যের কথা বলা যাবে না৷ ভারতীয় সভ্যতা তো গোটা বিশ্বকে শান্তির কথা বলেছে৷ সেটাই আমাদের শক্তি৷ সন্ত্রাসবাদ শান্তিকে বিঘ্নিত করতে চাইছে৷ যারা বলছেন, শান্তির কথা বলবেন না, তারা সন্ত্রাসবাদের দোসর৷’’
বাম নেতার বক্তব্য
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আমরা সম্প্রীতির দাবিতে মিছিল করেছি৷ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তার আগে ঘোষণা করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ বিজেপি কি মোদী-ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পারবে?’’
বিজেপি-র পতাকা নিয়ে বাইক
সোমবার যুদ্ধবিরোধী মিছিল হয়েছিল, মূলত বুদ্ধিজীবী ও বাম কর্মীরা সেই মিছিলে যোগ দেন৷ সেই মিছিলে বিজেপি হামলা করে বলে অভিযোগ৷ বিজেপি অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ মঙ্গলবারও বিজেপি-র পতাকা নিয়ে কিছু বাইককে দেখা যায়৷ পুলিশ মিছিলের গতি কমিয়ে দেয়৷ বাইকগুলো চলে যায়৷