কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসবে ঢাকার নায়ক-নায়িকারা

২৯ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেখানো হলো ২০টি পূর্ণদৈর্ঘের সিনেমা, দুইটি শর্ট ফিল্ম এবং দুইটি ডকুমেন্টারি। নন্দনে দীর্ঘ লাইন দিয়ে মানুষ দেখলেন বাংলাদেশের সিনেমা।

এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্য়োক্তা হলো বংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসেছিলেন এবং তিনি স্মারক তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও অভিনেতা ব্রাত্য বসুর হাতে।

হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০টি করে হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে। আগে এটা বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, কলকাতার মানুষ বিনা পয়সায় বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে পারছেন, এর থেকে ভালো জিনিস আর হয় না। দুই দেশের মধ্যে এভাবেই সংস্কৃতির বিনিময় হবে।

চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস। তিনি বলেছেন, দুই দেশেই অনেক ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন। তারা একসঙ্গে কাজ করলে আমরাও অস্কার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা জানালেন, এই প্রথমবার তিনি নন্দনে এলেন। কলকাতার মানুষ বাংলাদেশের ছবি দেখছেন, তাদের ভালো লাগছে দেখে তিনি আনন্দিত। এই উৎসবে তার মেয়ে রোদেলা টাপুরের ছবিও ছিল।

তারও এই প্রথমবার কলকাতায় আসা। প্রার্থনা ভাবতেই পারেননি, কলকাতার মানুষ তার নাম জানে, তাকে দেখে চিনে ফেলবে। তার ছবি 'শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়' কলকাতার মানুষের ভালো লাগবে বলে তিনি মনে করেন।

এই প্রথমবার কোনো চলচচিত্র উৎসবে যোগ দিলেন নুসরত ফারিয়া। তার সিনেমা 'পাতালঘর' আগে গোয়া ও বেঙ্গালুরুতে দেখানো হয়েছে। কলকাতাতেও হবে।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরিচালক গৌতম ঘোষের হাতে তুলে দেন শ্রদ্ধার্ঘ।

আরমা দত্ত বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এবং জাতীয় সংসদের সদস্য। তিনিও যোগ দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র উৎসবে।