কলকাতায় ক্রিসমাস: ঐতিহ্য, মজা ও মানুষের উৎসব
কলকাতার ক্রিসমাস মানে উৎসব, যার একটা বিশাল ঐতিহ্য আছে। ধর্মীয় গণ্ডির বাইরে গিয়ে কলকাতার এই উৎসব পালন তাকে অনন্য করেছে।
স্যান্টা এলো
পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় স্যান্টা ক্লজের গাড়ি। স্যান্টা মানেই ক্রিসমাস চলে এসেছে। কলকাতার ক্রিসমাস শুরু হয়ে যায় বড়দিনের অনেক আগে থেকেই। বড়দিনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই পার্ক স্ট্রিট-সহ সাহেবপাড়া ঝলমল করছে।
আলোয় আলোয়
আলোয় সেজে ওঠা পার্ক স্ট্রিটের ছবি। শুধু আলো নয়, এখানেই কয়েকদিন ধরে চলবে গান, কবিতা, নাচ। জমজমাট উৎসবে যোগ দিতে রাস্তায় নেমে পড়বেন বঙ্গসন্তানরা। কলকাতায় ক্রিসমাসের বড় পরিচয় হলো এটা একটা মিলনমেলা, যেখানে সব ধরনের মানুষ আনন্দের স্রোতে সামিল হন।
লাইন দিয়ে কেক কেনা
বড়দিন মানে কেক খেতেই হবে। আর ক্রিসমাসের কেক মানে নিউ মার্কেটে নাহুমের কেক। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঈহুদি বেকারির কেক ছাড়া কলকাতার ক্রিসমাস ভাবা যায় না। তাই নাহুমের দোকানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে কেক কেনেন বঙ্গসন্তানেরা।
স্বাদে ও গন্ধে
নাহুমের ক্রিসমাস কেক মানে স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। কলকাতার ক্রিসমাস জীবনের অঙ্গ তাই এই কেক।
সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল
আলোর মালায় সেজে উঠেছে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল। ১৮৪৭ সালে শেষ হয়েছিল এই চার্চের নির্মাণ। যুক্তরাজ্যের বাইরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে প্রথম ক্যাথিড্রাল। ১৯৩৪-এর ভূমিকম্পের পর যার অনেকটাই নতুন করে তৈরি করা হয়। বড়দিনের কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ এই ক্যাথিড্রাল।
সুসজ্জিত দোকানপাট
স্যান্টা ক্লজ আছেন, আছে বাহারি লতাপাতা ও অন্যান্য জিনিস। এভাবেই কলকাতায় সেজে উঠেছে অনেক দোকান।
ঘর সাজানোর জিনিস
ক্রিসমাসে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালিরা ঘর সাজান। তাই নিউ মার্কেটে ঘর সাজানোর জিনিস প্রচুর বিক্রি হচ্ছে।
স্যান্টার সঙ্গে হাত মেলানো
স্যান্টাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাস্তায়, শপিং মলে, বাজারে। আর দেখা হলে খুশির হাসি বাচ্চাদের মুখে। চলছে হাত মেলানোর পালা।
সেলফি টাইম
পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্ক। আলোয় সেজে ওঠা পার্কে সেলফি না তুললে হয়! এখানেই বড়দিনের গান, বাজনা হয়।
স্যান্টার সঙ্গে
স্যান্টার সঙ্গে বাইক নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায়, এই সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়! হুজুগে কলকাতাবাসী এভাবেই মেতে আছে বড়দিনের মজায়।
বো ব্যারাকের আলোয়
বো ব্যারাক হল অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের পাড়া। প্রতিবার বড়দিনের সময় প্রচুর আলো দিয়ে সাজানো হয় এই পাড়া। মনোহারিনী বো ব্যারাকের এই আলোকসজ্জা দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই।
মানুষের ঢল
ক্রিসমাসের আগে থেকেই কলকাতার সাহেবপাড়ায় মানুষের ঢল। কলকাতা তো উৎসবনগরী। যে কোনো উৎসবে কলকাতা অপরূপ হয়ে ওঠে মানুষের কোলাহলে। এটাই কলকাতাকে অনন্য করে তুলেছে।