কলকাতার বস্তিতে আগুন, মৃত এক, গৃহহীন দুইশ মানুষ
শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত আগুনে পুড়ে ছাই হলো কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকার একটা বস্তি।
অন্তত ৩০টি বাড়ি পুড়ে ছাই
নারকেলডাঙার এই বস্তিতে আগুন লেগে অন্তত ৩০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাথার উপর ছাদ হারিয়েছেন অন্তত দুইশ মানুষ। শনিবার রাত দশটা নাগাদ আগুন লাগে। রাত তিনটেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রোববার সকালেও দেখাৈ যায়, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
আগুনে মৃত এক
আগুন লাগায় মারা গেছেন ৬৫ বছর বয়সি হাবিবুল্লাহ মোল্লা। গভীর ঘুমে থাকায়া আগুন লাগলেও তিনি বের হতে পারেননি। তার মেয়ে জানিয়েছেন, তার বাবা একটি গুদামে কাজ করতেন। সেখানেই শুতেন। গুদামে আগুন লাগার পর তিনি আর বেরোতে পারেননি।
কারণ জানা যায়নি
কলবকাতা পুরসভার মেয়ার ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মেয়র যা বলেছেন
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যে জমিতে ঝুপড়িগুলি ছিল, সেটা সেচ দপ্তরের। এই মানুষরা সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন। তারা গরিব মানুষের পক্ষে। সেচ দপ্তর যদি রাজি হয়, ,তাহলে তারা সেখানে মানুষদের পুনর্বাসনের কাজ করবেন। তিনি বলেছেন, আইন অনুসারে যা করা যায়, তারা সেটা করবেন।
স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ
স্থানীয় মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলর শচিন সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। তারা মেয়রের কাছে এই ক্ষোভ জানিয়েছেন। শচিন সিং ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে তিনি থানার সামনে অবস্থান শুরু করেন। তিনি বলেন, ,তাকে খুনের হুমকি দেয়া হয়েছে। তার সমর্থকরা বলেন, স্থানীয় এক গুণ্ডা তাকে গরিবদের সাহায্য করতে বাধা দিচ্ছে।
সবকিছু পুড়ে গেছে
স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন, আগুন খুব দ্রুত ছড়ায়। তার ফলে তারা তাদের ঘরে রাখা কোনো জিনিসই বাঁচাতে পারেননি। সালমা জানিয়েছেন, তার স্বামীর ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড সব পুড়ে গেছে। কী করে আগুন লাগলো তা তারা বুঝতে পারছেন না।
প্লাস্টিক ও কাগজের গুদামে আগুন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওখানে একটি প্লাস্টিক ও কাগজের গুদাম ছিল। সেই গুদাম পুড়ে গেছে। এই গুদাম নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন।
দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন
দমকলের মোট ১৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য অভিযোগ করেছেন, দমকল আসতেও কিছুটা দেরি হয়েছে।