কলকাতা বইমেলায় এই প্রথমবার থিম দেশ জার্মানি
কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছিল ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। গত ৪৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম জার্মানি থিম দেশ হলো
বইমেলার উদ্বোধন
সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধন মঞ্চে মমতার পাশে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির প্রতিনিধিরাও।
জার্মানির অভিনব প্যাভিলিয়ন
এবার জার্মানির প্যাভেলিয়নটিকে সাজানো হয়েছে একটি বইয়ের তাক হিসাবে। বিশালাকায় প্যাভেলিয়নটি দেখতে বইয়ের তাকের মতো। তাকে তাকে সাজানো আছে জার্মান লেখকদের বই।
পরিবেশবান্ধব ভাবনা
স্টলের নির্মাতা তথা শিক্ষক অনুপমা কুন্ডু জানান, প্যাভেলিয়ন তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে পরিবেশের উপরেও। সাধারণত প্লাইউড দিয়ে স্টল সাজিয়ে মেলা শেষে সেটা ভেঙে ফেলা হয় । কিন্তু এই তাক মেলা শেষে খুলে নেওয়া যাবে। যদি কেউ চান তাহলে তিনি এই তাক বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। এর ফলে ভারত ও জার্মানির মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হবে।
মানুষের আগ্রহ
প্রথম দিনেই জার্মানির প্যাভেলিয়নে চোখে পড়ার মত ভিড় ছিল। উৎসাহীরা জার্মানি থেকে আগত প্রতিনিধিদের ছবি ক্যামেরা বন্দি করছিলেন।
দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও
বইমেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার জার্মান কনসুলেটের প্রতিনিধিরাও।
'আমরা সম্মানিত'
ভারতে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অকারমান জানান, এই ব্যবস্থাপনা তাদের খুব ভালো লেগেছে। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইলেমায় এই প্রথম জার্মানিকে থিম কান্ট্রি হিসেবে বিবেচনা করার জন্য তারা সম্মানিত।
ডয়চে ভেলের স্টল
প্যাভেলিয়নে রয়েছে জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের স্টল। ডয়চে ভেলের জার্মানি এবং ভারতের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকছেন তাদের স্টলে।
গ্যোটে ইন্সটিটিউটের স্টল
গ্যোটে ইন্সটিটিউটেরও স্টল রয়েছে প্যাভেলিয়নে। জার্মান ভাষা শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারের দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের উপর।
প্রথমদিনেই ভিড়
উদ্বোধনের কিছুক্ষণ পরেই বইমেলা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথমদিন ভিড়ে উপচে না পড়লেও মেলাপ্রাঙ্গনে বইপ্রেমীদের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না ৷