ওয়াকফ নিয়ে ভাঙড়েও সহিংসতা, ভাঙচুর, আগুন
জঙ্গিপুর, সুতির পর এবার ভাঙড়েও ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন সহিংস হলো। পুলিশের গাড়ি, বাইক ভাঙচুর, আগুন।
ভাঙড়ে তুলকালাম
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হলো। পুলিশের গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করা হলো। আগুন লাগানো হলো। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়া হলো।
বিক্ষোভকারীদের আটকায় পুলিশ
বাসন্তী হাইওয়েতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। পুলিশের দাবি, কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হয়েছিলেন বলে আটকানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলকাতায় আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির সভায় তারা যেতে চাইছিলেন। পুলিশ তাদের বেআইনিভাবে আটকে দেয়।
ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা
ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ প্রবলভাবে লাঠি চালায়। তার পাল্টা ইট-বৃষ্টি হয়। নওসাদ সিদ্দিকি ফোন করে সমর্থকদের বলেন, আইন যেন নিজের হাতে তারা না নেন। তারপর বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।
ভাঙচুর, আগুন
এরপর উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। শুরু হয় বিক্ষোভ, অবরোধ, সহিংসতা, আগুন। পুলিশের বাইকে আগুন লাগানো হয়। গাড়ি উল্টে ফেলে দেয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন যা বলেছে
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সকলে যেন শান্তি বজায় রাখেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর ওয়াকফ বোর্ড ঘটনার নিন্দা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। স্থানীয় প্রশাসন ও ওয়াকফ বোর্ড যৌথভাবে সমস্যার সমাধানে বৈঠকের আয়োজন করে।
নওসাদ সিদ্দিকি যা বললেন
নওসাদ সিদ্দিকি বলেছেন, যা হয়েছে তা সংবিধানবিরোধী। আইএসএফ সমর্থকদের কলকাতায় আসতে দেয়া হয়নি। মানুষই এরপর জবাব দেবেন।
ওয়াকফ আইন নিয়ে আদালতে যাবে কংগ্রেস
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে দল। অধীর বলেছেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ প্রমাণ করে, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নৈতিকতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।'' তার দাবি, ''ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা কোনওরকম দাঙ্গার চান না, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তৃণমূল দুর্বৃত্ত ঢুকিয়ে পরিবেশকে বিষাক্ত করছে।"