ওয়াকফ নিয়ে কলকাতা, দিনাজপুরে প্রতিবাদ, মুর্শিদাবাদে সহিংসতা

কলকাতায় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিশাল সমাবেশ হয়। বৃহস্পতিবার এই সমাবেশের উদ্যোক্তা ছিল জমিয়ত-ই-উলেমায়ে-হিন্দ। কলকাতার রামলীলা ময়দানে এই সমাবেশ হয়। মিছিল করে মানুষ তাতে যোগ দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মৌলালিতে জমিয়ত সমর্থকরা এক ঘণ্টা পথ অবরোধ করে রাখে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কলকাতায় বিশাল মিছিল করে সমাবেশে যোগ দেন প্রতিবাদকারীরা। এর ফলে পার্ক সার্কাস, মা ফ্লাইওভার, মৌলালি, লেনিন সরণী, এজেসি বোস রোডে প্রবল যানজট হয়। চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলও অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ।

বুধবার দিনাজপুরে ওয়াকফ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল হয়। প্রচুর মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের দাবি, ওয়াকফ আইনের সংশোধন বাতিল করতে হবে।

গত মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে ওয়াকফ নিয়ে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের জিপে আগুন লাগানো হয়।

জঙ্গিপুরের উপরপুরে প্রচুর মানুষ সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে। পুলিশ সেই অবরোধ তুলে দিতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুইটি পুলিশ জিপ পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশ লাঠি চালায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।

প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। রীতিমতো রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় গোটা এলাকা। জঙ্গিপুর জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।

মুর্শিদাবাদের নেতা এবং কংগ্রেসের লোকসভার প্রাক্তন নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ''শান্তিপূর্ণভাবে ওয়াকফ নিয়ে প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে। আমরাও করেছি এবং ভবিষ্যতে করব। তবে প্রতিবাদ যেন সাম্প্রদায়িক রং না নেয়, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না ছড়ায়।''

রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জঙ্গিপুরের ঘটনা নিয়ে বলেছেন, ''সিপিএম আমলেও তীব্র প্রতিবাদের সময় পুলিশ এইভাবে লাঠি চালায়নি। আমরা সেই সুযোগটা দিইনি। এখন কেন লাঠি চালাতে হলো আমার জানা নেই। এমন কিছু হয়নি, যার জন্য পুলিশকে এইভাবে লাঠি চালাতে হবে। যারা সহিংস আন্দোলন করবেন, তারা ব্যর্থ হবেন। আমরা কোনো দিন সহিংসতা চাই না।''