এবার নীতীশ কুমারের দল ভাঙছে বিজেপি?
৫ জুলাই ২০২৩নীতীশ কুমারের দল ভাঙার খবরটা কোনোরকম রাখঢাক না করেই বলেছেন বিহারের বিজেপি নেতা ও সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। একসময় নীতীশের খুব কাছের এই নেতার দাবি, ''জেডি(ইউ) ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আগামী দিনে যে কোনোকিছুই হতে পারে।''
সুশীল মোদীর দাবি
সুশীল মোদী বলেছেন, ''জেডি(ইউ)-র মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রচুর বিধায়ক ও সাংসদ দল ছাড়তে চাইছেন। বিজেপি তাদের নেবে কিনা, তা এখনো ঠিক হয়নি। অনেকগুলি বিষয়ের উপর তা নির্ভর করছে। তবে একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, নীতীশের জন্য বিজেপি-র দরজা বন্ধ।''
মোদীর বক্তব্য, ''জেডি(ইউ) বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে অনিশ্চয়তার মূল কারণ হলো, তারা আর জিতে আসতে পারবেন কি না, তানিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া নীতীশজানিয়ে দিয়েছেন, এরপর তেজস্বী যাদবই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ফলে বিধায়ক ও সাংসদরা অস্থির হয়ে উঠেছেন।''
নীতীশের বৈঠক
নীতীশ কুমার এখন বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করছেন। সেটা নিয়েও কটাক্ষ করে সুশীল বলেছেন, ''নীতীশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিধায়ক ও সাংসদদের ছয়মাস অপেক্ষা করতে হতো। সেই নীতীশই এখন প্রত্যেকের সঙ্গে আধঘণ্টা ধরে কথা বলছেন।''
লালুর দাবি
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব বলেছেন, ''মহারাষ্ট্রের পর বিজেপি এখন বিহারের দিকে নজর দিয়েছে। তারা নীতীশ কুমারের দল ভাঙতে চায়। তারা অগণতান্ত্রিক পথ নিয়েছে।''
লালুর মতে, ''শরদ পাওয়ার এনসিপি-র সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি বিরোধীদের একজোট করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। বিহারে বিরোধীদের বৈঠকেও এসেছিলেন। বিজেপি তার দল ভেঙে দিল। এবার আমার ছোট ভাই নীতীশ কুমারের দল ভাঙতে চাইছে। কিন্তু বিহারে বিজেপি-কে বিধায়ক, সাংসদ কেনাবেচা করতে দেয়া হবে না।''
সরকারের বিপদ আছে?
বিহারে বিধানসভায় মোট ২৪৩টি আসন আছে। ১২২টি আসন পেলেই সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যায়। আরজেডি-র ৭৯ জন বিধায়ক আছেন। জোটসঙ্গী কংগ্রেস ও বাম ও অন্যরা মিলি ৩৫ জন বিধায়ক আছেন। নীতীশের বিধায়কসংখ্যা ৪৫জন। ফলে নীতীশের দলের আটজন বিধায়ক মহাজোটের পক্ষে থাকলে সরকার বেঁচে যাবে। তবে মাহারাষ্ট্রে বিজেপি যেভাবে শিবসেনা ও এনসিপি-কে ভেঙেছে তাতে লালুর চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে উদ্যোগী নীতীশ
নীতীশ কুমার আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ হতে চান। তিনি এখন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলছেন। বিহারে তার উদ্যোগে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়েছে। সেখানে ১৭টি দলের শীর্ষ নেতা ছিলেন।
বিহারে বিজেপি-বিরোধীদের অভিযোগ, নীতীশ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন দেখে মোদী তার দল ভাঙতে চাইছেন। তাহলে নীতীশকে বড় ধাক্কা দেয়া সম্ভব হবে। ভোটের অনেক আগেই নীতীশকে ধরাশায়ী করে দেয়া যাবে। তাই জেডি(ইউ) ভাঙাতে চাইছে বিজেপি।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)