ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় আর যে দু'জনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন কারাগারে আছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আইনজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, এই বিচার নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। কেউ কেউ এটাকে ‘পলিটিক্যাল ট্রাইব্যুনাল' বলছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, যে কোনো বিচার নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তোলা সম্ভব, কিন্তু আইনগতভাবে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাও মনে করেন, এই বিচার নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "এই বিচার তো প্রচলিত কোনো আইনের বিধানের দ্বারা হচ্ছে না। এই বিচার তো স্বাভাবিক না, অস্বাভাবিক। এই আইনটা করা হয়েছিল একাত্তরের জন্য। এখন ২০২৪ সালে এই আইনে বিচার হচ্ছে। ভবিষ্যতে তো যারা ২০২৫ বা ২০২৬ সালে থাকবে, তাদের বেলাও হতে পারে।”
আইনের ব্যাখার বিষয়ে জানতে চাইলে জনাব পান্না বলেন, "এখানে অনেকগুলো সেলফ কন্ট্রাডিক্টরি বিষয় আছে। ১৯৭১ সালের কয়েকজন অভিযুক্ত আছেন যাদের বিচার এখানে চলছিল। সেগুলোও তো করতে হবে। এখন ৭১-এর বিচার বাদ দিয়ে ২৪ সালের মামলা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে হোক, আর যেভাবেই হোক, সেটা করতে হবে কেন? এটা তো ঠিক না। আমি মনে করি, এটা পলিটিক্যাল ট্রাইব্যুনাল।”