এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন যোগ্যতা নিশ্চিত
৪ এপ্রিল ২০২৫আরো ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি এবং নাম যাচাই-বাছাই করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার৷
শুক্রবার ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমাকে এই তথ্য জানান।
২০১৮-২০ সালের মধ্যে ছয় দফায় আশ্রয় নেওয়া আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, "রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে এটি একটি বড় ও নিশ্চিত পদক্ষেপ৷’’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারেও মিয়ানমার সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।
এদিকে মিয়ানমারের ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস৷ দেশটির বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতির সংবাদকে স্বাগত জানান তিনি৷ সংঘাতের অবসান ও রাজনৈতিক সমাধানের আলোচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি৷ বলেন, ‘‘এই সমাধানে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের পথ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷’’
বক্তব্যে গত মাসে বাংলাদেশ সফরের সময়ে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের স্মৃতিও উল্লেখ করেন তিনি৷ মিয়ানমারে ‘সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান এবং গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব৷
এডিকে, এফএস/এসিবি