এএফডির সমর্থন নেওয়ায় সিডিইউ, ম্যার্ৎসের জনপ্রিয়তা কমেছে
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপে এই তথ্য জানা গেছে৷
সিডিইউ বা খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দলটির প্রতি এখন ২৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে৷ অর্থাৎ ,আগের চেয়ে সমর্থন দুই শতাংশ কমেছে৷ আর এই দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সমর্থন তিন শতাংশ কমে ২২ হয়েছে৷
জনপ্রিয়তা কমলেও সিডিইউ এখনও সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পাওয়া দল৷ এবং ম্যার্ৎসও সবচেয়ে বেশি সমর্থন থাকা চ্যান্সেলর প্রার্থী৷ দল হিসেবে সিডিইউর পরে আছে এএফডি (২০ শতাংশ), সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি (১৬ শতাংশ) ও সবুজ দল (১৫ শতাংশ)৷ আর চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে ম্যার্ৎসের সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন সবুজ দলের প্রার্থী রব্যার্ট হাবেক (বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর)৷ আর এসপিডির ওলাফ শলৎস (বর্তমান চ্যান্সেলর) ও এএফডির আলিস ভাইডেল ১৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন৷
জার্মানির গণমাধ্যম আরটিএল ও এনটিভির জন্য জরিপটি করেছে ফোরসা ইনস্টিটিউট৷ ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়৷
অভিবাসন ইস্যুতে গত বুধ ও শুক্রবার সংসদে দুটি প্রস্তাব এনেছিলেন ম্যার্ৎস৷ দুটিতেই তিনি এএফডির সমর্থন পেয়েছিলেন৷ তবে বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও শুক্রবারেরটি অল্পের জন্য পাস হয়নি৷ বুধবারের প্রস্তাবটি পাস হলেও সেটি বাস্তবায়নে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ তবে শুক্রবারের প্রস্তাবটি পাস হলে তা বাস্তবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল৷
এএফডিকে নিয়ে সমস্যা কেন?
এএফডি হচ্ছে জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল৷ উগ্র ডানপন্থি সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় এই দলের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে৷ এএফডির সঙ্গে কোনো পর্যায়ে কাজ করা না নিয়ে জার্মানির অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে একধরনের সমঝোতা ছিল৷ তাই গত সপ্তাহে যখন ম্যার্ৎস তার প্রস্তাব পাস করতে এএফডির সমর্থন নেন তখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছিল৷ অন্যান্য দলও তার সমালোচনা করেছিল৷
তবে সপ্তাহান্তে ডিডাব্লিউর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস নিজেকে ও তার দলকে এএফডির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বার্তা সবসময় খুব স্পষ্ট ছিল: আমরা সেই (এএফডি) দলের সাথে কাজ করছি না৷ বিষয়টি গত সপ্তাহে এমন ছিল না, এবং এই সপ্তাহেও নয়, পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহেও থাকবে না৷''
কেট হেয়ারসিন/জেডএইচ