ইসরায়েলের হামলায় তেহরান ও তেহরানবাসী যে অবস্থায়
ইসরায়েলের হামলার কারণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে- এমন আশঙ্কা বাড়ছে৷ছবিঘরে থাকছে ইরানের রাজধানী তেহরান ও তেহরানবাসীদের কথা...
পালটাপালটি হামলা
গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ইরানও তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বেশ কিছু শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ পালাটাপালটি এই হামলায় দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷
বাসিন্দাদের তেহারন ছাড়তে বললেন ডনাল্ড ট্রাম্প
ক্যানাডায় অনুষ্ঠানরত জি ৭ সম্মেলনের সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ ইরান-ইসারায়েল সংঘাতের পঞ্চম দিনে তিনি বাসিন্দাদের দ্রুত তেহরান ছাড়ার কথ বলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, তেহরানে ইসরায়েলের হামলা তীব্রতর হতে পারে৷
তেহরান ছাড়ার তোড়জোড়
সংঘাত শুরুর পর থেকেই তেহরান ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন বাসিন্দারা৷ এ কারণে প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার শহরটির রাস্তাঘাটে দেখে দেয় তীব্র যানজট৷ ছবিটি ১৬ জুন তোলা৷
‘আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই’
দুই দেশের সংঘাতের ফলে মৃত্যু ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ৷ রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের হামলা তীব্রতর হওয়ায় বাসিন্দারা শহর ত্যাগে মরিয়া৷ তবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না৷ তেহরানের বাসিন্দা শাহরিয়ার টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই৷ কোথায় যাবো? বাড়ি ছেড়ে আমরা কতক্ষণ থাকবো?’’
মসজিদ, স্কুল, সাবওয়েতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ
আপৎকালীন সময়ের জন্য ইরান সরকার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল সাইট’ তৈরি করলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটিতে বোমা হামলার সময়ের জন্য কোনো বিশেষায়িত আশ্রয়কেন্দ্র নেই৷ এর ফলে জরুরি প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জায়গা নেই তেহরানবাসীর৷ জরুরি পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদেরকে মসজিদ, সাবওয়ে এবং স্কুলে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইরান সরকার৷
‘নেই সাইরেনের শব্দ’
হামলার আগে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সংকেত হিসেবে সাইরেন বাজানোরও কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানালেন তেহরানের আরেক বাসিন্দা গোলাম রেজা মোহাম্মদি৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘কোনো সাইরেন বাজেনি, আশ্রয়স্থল নেই৷ এখন পরিস্থিত আরো খারাপ৷এটিএম থেকে টাকাও তুলতে পারছি না৷’’
খবর নেওয়ার চেষ্টা
হামলা, পালটা হামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে উদগ্রীব অনেকেই৷ তেহরানের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনের দুই যাত্রী স্মার্টফোনে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করছেন৷ ছবিটি ১৪ জুন তোলা৷
সুনসান নীরবতা
সংঘাত শুরু হওয়ার পর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাসিন্দারা৷ রাস্তাঘাট অনেকটাই জনশূন্য৷ বন্ধ দোকানপাটও৷ ১৬ জুন তোলা এই ছবিতে রাজধানী তেহরানের গ্র্যান্ড বাজারের উপর দিয়ে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে৷
জ্বালানির জন্য লম্বা লাইন
ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মজুত করতে ছুটাছুটি শুরু করেন সাধারণ মানুষ৷ যানবাহনের তেলের জন্য রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে ছিল এমন লম্বা লাইন৷
সরকারকে সমর্থন
ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষিতে সরকারের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে৷ সরকারের সমর্থনে তেহরানের রেভোল্যুশন স্কয়ারে এভাবেই ভিড় করেন হাজারো মানুষ৷ ছবিটি ১৪ জুন তোলা৷
আরআর/এসিবি (রয়টার্স)