গাজায় ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড' ও যৌন সহিংসতার অভিযোগ
১৪ মার্চ ২০২৫বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের দল এই অভিযোগ করেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘‘এগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও ইহুদি-বিদ্বেষী।''
এক বিবৃতিতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, "সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস কর্তৃক সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের দিকে মনোযোগ দেয়ার পরিবর্তে জাতিসংঘ আবারও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল নিয়ে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন বলেছে "ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আরোপ করা ব্যবস্থাও এর অন্তর্ভুক্ত। এগুলো রোম সংবিধি এবং গণহত্যা বিষয়ক কনভেনশনে গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।"
কমিশন জানিয়েছে, চিকিৎসা সরবরাহ সীমিত করার কারণে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই পদক্ষেপগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীকে ২০২৩-এর অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেয়ার জন্য তাদের অভিযানের মধ্যে জনসমক্ষে জোরপূর্বক নারীদের বিবস্ত্র করা ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জেনেভায় কমিশন কর্তৃক আয়োজিত একাধিক শুনানির সময়, গাজার একজন নার্স ইসরায়েলি বাহিনী তাকে অপহরণ করার পর তাকে প্রকাশ্যে অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছে । বন্দি অবস্থায় তাকে যৌন নিপীড়ন ও অত্যাচার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
অভিযোগ রয়েছে হামাসের বিরুদ্ধেও। ২০২৪ সালের জুন মাসে কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছরের মার্চ মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলেছিল, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার সময় বেশ কয়েকটি স্থানে ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটেছে- এমনটি ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)