ইরানের পরমাণু ইশু এবার নিরাপত্তা পরিষদে : ই.ইউ ট্রয়কা
১২ জানুয়ারি ২০০৬গত ৯ই জানুয়ারি ইরান সব রকমের নিষেধ অমান্য করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ
আবার শুরু করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাঁদের বার্লিন বৈঠকে শেষ পর্যন্ত এই সুপারিশ করলেন৷ এ ব্যাপারে গোটা ই.ইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আছে৷ বিষয়টিকে নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করার সুপারিশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের বর্তমান সরকারের ওপর চাপটা জোরদার করতে চায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার দৃঢতার সঙ্গেই বলেছেন, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পরিষদকে সচল করার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই বিতর্কের নতুন এক পর্যায়৷ তবে তার অর্থ এই নয় যে আলাপ আলোচনার পূর্ণ সমাপ্তি ঘটল৷ তিনি অবশ্য স্বীকার করেন যে, ইরানের সঙ্গে তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এক অন্ধ গলিতে পৌঁছে গেছে৷
বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাক স্ট্র ও ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিলিপ দুস্ত-ব্লাজ়ি-র সঙ্গে আলোচনার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ার বলেছেন, ইরান বহু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আই.এ.ই.এ-র নিয়মবিধি ভঙ্গ করেছে৷ এবং তার সঙ্গে জার্মানি, বৃটেন আর ফ্রান্সের আলোচনা এমন এক অন্ধ গলিতে এসে পৌঁছেছে যে, নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় না করে কোন উপায় নেই৷ তবে কূটনৈতিক নিষ্পত্তির আশা এখনও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র বলেন, এ মুহূর্তে আই.এ.ই.এ-র গভর্নিং বোর্ড-এর বিশেষ অধিবেশন তলব করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই৷ ঐ বোর্ডই তারপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় করবে৷ পরমাণু শক্তি অসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ইরানী অধিকার সম্মান পাবে৷ তবে তার এখনকার কর্মকান্ড থেকে এরকম সন্দেহই করা হচ্ছে যে সে পরমাণু অস্ত্রই তৈরি করতে আগ্রহী৷ স্ট্র জোর দিয়ে বলেন, ইরানের জনগণের সঙ্গে কোন বিরোধ নেই৷ ওয়াকেবহাল সূত্র জানাচ্ছে, আই.এ.ই.এ-র বিশেষ বৈঠক আগামী সপ্তাহের শেষাশেষি তলব করা যেতে পারে৷
বার্লিনের বৈঠকে ই.ইউ-র বিদেশ সংক্রান্ত প্রতিনিধি হাভিয়ার সোলানাও উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের সরকাররাই এই ঐকমত্যের সমর্থক৷ সোলানাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, ইরানের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই৷