আসছে মুরালিধরনের বায়োপিক '৮০০'
শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী স্পিনার মুরালিধরনের বায়োপিক এবার মুক্তি পেতে চলেছে। নাম '৮০০'। তারই প্রমোশনে কলকাতায় মুরালিধরন।
টেস্টে আটশ উইকেট
টেস্ট ক্রিকেটে আটশ উইকেটের মালিক মুরালিধরন। তার স্পিনের জাদুতে পরাস্ত হয়েছেন বিশ্বের তাবড় ব্যাটার। তাই তার বায়োপিকের নাম রাখা হয়েছে '৮০০'। কলকাতায় তার প্রচারেই এসেছিলেন মুরালিধরন।
'আটশ কেন, এক হাজার ৩৪৭ হবে'
মুরালিধরনের বায়োপিকের প্রচারে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মুরালিধরনের কাছ থেকে জানতে চাইলেন, ''একদিনের ক্রিকেটে উইকেটের সংখ্যা যেন কত?'' মৃদু হেসে মুরালিধরনের জবাব, ''৫৩৪। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি-তে ১৩ উইকেট।'' সৌরভের প্রশ্ন, ''তাহলে তো মোট উইকেটের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৭। বায়োপিকের নাম কেন ৮০০ রাখা হলো?''
'স্পিনের জাদুকর'
সৌরভ জানালেন, মুরালিধরন ছিলেন স্পিনের জাদুকর। একবার রাহুল দ্রাবিড় তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'কেমন করে মুরালিধরনকে অফ ড্রাইভ মারবেন। সৌরভের জবাব ছিল, ওসব করতে যেও না। স্ট্রাইক রোটেট কর।' সৌরভ বলেছেন, 'শ্রীলঙ্কায় হোটেলকর্মী বলেছিলেন, আপনারা ভালো দল। কিন্তু আমাদের মুjরালি আছে।'
সৌরভের প্রশংসায় মুরালিধরন
মুরালি বললেন, ''সৌরভ শুধু অসাধারণ প্লেয়ার ছিলেন না, টিমকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজহারউদ্দিনকে নিয়ে যখন প্রবল বিতর্ক হয়েছে, তারপর টিমকে দাঁড় করিয়েছেন সৌরভ। ধোনির হাতে তুলে দিয়েছেন সেট করা টিম।''
মুরালির ভূমিকায় মধুর
বায়োপিকে মুরালির ভূমিকায় আছেন মধুর মিত্তল আর পরিচালক এমএস শ্রীপথি। হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগুতে মুক্তি পাচ্ছে এই বায়োপিক। যার ট্রেলার দেখানো হলো এদিনের অনুষ্ঠানে।
ভাঙা হাতের সুবিধা
মধুর জানালেন, ''ছেলেবেলায় তার হাত ভেঙেছিল। তাই মুরালিধরনের ভূমিকায় অভিনয় করতে, বল করতে সুবিধা হয়েছে।''
মুরালিধরনের ছেলেবেলা
বায়োপিকে মুরালিধরনের ছেলেবেলাও থাকছে। ট্রেলারে এলো সেই বাচ্চা মুরালির প্র্যাকটিসের ছবি।
ক্রিকেটারদের নিয়ে সিনেমা
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল '৮৩'। ১৯৮৩-তে ভারতের বিশ্বকাপ জয় ও কপিল দেবকে নিয়ে সেই ছবি মানুষের ভালো লেগেছিল। শচিনকে নিয়েও সিনেমা হয়েছে। ধোনিকে নিয়ে হয়েছে। এবার আসছে মুরালিধরনের বায়োপিক। আর তার প্রমোশনের মঞ্চ থেকে মুরালিধরন জানালেন, সৌরভের বায়োপিকও এরপর আসবে।
জেন্টেলম্যান ক্রিকেটার
ক্রিকেটের ২২ গজে মুরালিধরন ছিলেন ভয়ঙ্কর। কিন্তু মাঠের বাইরে নিপাট ভদ্রলোক। সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে তবে হোটেল ছাড়লেন তিনি। তার আগে একটি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে ক্রিকেট খেললেন। কোভিডের পর এই প্রথমবার কলকাতায় এলেন। আবার মন জয় করলেন এই কিংবদন্তী স্পিনার।