আর্মেনিয়াকে আরো সময় দিল আজারবাইজান
১৬ নভেম্বর ২০২০এক কথায় শ্মশানের স্তব্ধতা। পাহাড়ের গায়ে গায়ে যে দিকেই তাকানো যায়, কালো ধোঁয়া ঢেকে রেখেছে আকাশ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বেঁধে আর্মেনিয়ার পথে হাঁটছেন অসংখ্য মানুষ। এত দিন এই আর্মেনীয় মানুষদেরর ঘর ছিল নাগর্নো-কারাবাখে। সেই ঘরে আগুন লাগিয়ে তাঁরা চলে যাচ্ছেন আর্মেনিয়ায়, নতুন ঘরের সন্ধানে।
নাগর্নো-কারাবাখআজারবাইজানের অংশ। কিন্তু সেখানে থাকতেন আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারও তাঁরা সেখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সম্প্রতি তারই জেরে ছয় সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ হয়েছে সেখানে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে তীব্র সংঘাতে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার হস্তক্ষেপে শান্তিচুক্তি সই হয়েছে। যদিও আর্মেনিয়ার দাবি, ওই চুক্তির ফলে আজারবাইজানের লাভ হয়েছে। আর্মেনিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধে যে জায়গায় অবস্থান করছে, আপাতত তারা সেখানেই থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে লাভবান হয়েছে আজারি ফৌজ। শান্তি চুক্তির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আর্মেনিয়ার সেনা এবং সাধারণ মানুষকে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছিল আজারবাইজান। ১৫ নভেম্বর তা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো সকলে এলাকা ছাড়তে পারেননি। ফলে তাঁদের আরো ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে আজারবাইজান জানিয়েছে।
রোববার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানিয়েছেন, অধিকাংশ এলাকাই পাহাড়ি। আবহাওয়া ভালো নয়। যাতায়াতের রাস্তাও ভালো নয়। এই সব কিছু বিবেচনা করেই আর্মেনিয়াকে আরো ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
বহু দিনের ঘর ছেড়ে আর্মেনিয়ায় চলে যাচ্ছেন নাগর্নো-কারাবাখের সাধারণ মানুষ। যাওয়ার আগে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যাতে সেখানে আর কেউ বসবাস করতে না পারেন। আর্মেনিয়াতে গিয়ে তাঁরা কোথায় থাকবেন, তাও তাঁরা জানেন না।বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা নাগর্নো-কারাবাখ বিতর্কে এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দিল।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)