স্থলভাগের বিচারে চিকেনস নেক অপ্রশস্ত হওয়ায় এটাকে ব্যবহার করতে পারে জঙ্গি এবং অপরাধী সংগঠনগুলি । তিন দেশের সীমান্ত কাছাকাছি একটি জায়গায় এসে মেশায় এই পথকে পাচারের কাজে ব্যবহারের নিরন্তর চেষ্টা চলে। অস্ত্র থেকে মাদক, সবই এই তালিকায় রয়েছে।
অনুপ্রবেশ থেকে জঙ্গি গতিবিধি, দুটি ক্ষেত্রেই আশঙ্কা থাকে চিকেনস নেক-কে ঘিরে। বাংলাদেশে অস্থিরতা বাড়লে তার প্রভাব চিকেনস নেকে পড়ে বলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মনে করেন।
চিকেনস নেক-এর অন্যদিকে থাকা নেপাল সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। এখানে আবার পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সক্রিয় বলে সরকার মনে করে। তাদের মাধ্যমে নেপালের দিক থেকে অনুপ্রবেশ ও নাশকতার আশঙ্কা থেকে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে আরো গুরুত্ব বেড়েছে চিকেনস নেকের।
লেখক ও সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য ডিডাব্লিউকে বলেন, "চীন আমাদের উত্তর-পূর্বে অশান্তি তৈরির জন্য বিভিন্ন সময় কাজ করেছে। চীন অরুণাচল প্রদেশকে আমাদের অংশ বলে স্বীকার করে না। তারা মনে করে, এটা তাদের লাদাখেরই সম্প্রসারিত অংশ। ফলে চীনের পক্ষে এই চিকেনস নেককে আক্রমণ করে ভারত থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটা রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা একটা রাজনৈতিক বা স্ট্র্যাটেজিক কৌশল হতে পারে।"
সুমন বলেন, "একটা ইঙ্গিতপূর্ণ জিনিস মনে করাই, আজ সকালে একটা ছবি দেখা গিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাশাপাশি বসে আছেন। এই চীনের যে কোনো ধরনের অভিযান ঠেকাতে আমাদের কাছে যে রুশ অস্ত্র বা নজরদারি ব্যবস্থাপনা আছে, সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।"