আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে
২৫ আগস্ট ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহিদ আবু সাইদ হত্যাসহ একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন আরিফুজ্জামান। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাকিমপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা তাকে আটক করে। এর পর শনিবার রাতেই তাকে স্বরূপনগর থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার বা এএসপির দায়িত্বে ছিলেন আরিফুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরিফুজ্জামান জানান, হাসিনা সরকার পতনের পর সাতক্ষীরায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা থেকে ভারতে প্রবেশ করার সময় তিনি আটক হন।
বসিরহাট আদালতে তাকে পেশ করা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে বা বিদেশি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার কাছে বেশ কিছু নথি পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনাটি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে জানানো হয়েছে। কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। তবে এবিষয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়ন জানান, "আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি ঠিকই তবে আমাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।"
তবে সপ্তাহান্তে ছুটি থাকার কারণে আরিফুজ্জামানকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেনি কলকাতার দপ্তর। ডিডাব্লিউকে সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করতে পারে।
রংপুরের পরে আরিফুজ্জামানকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এ বদলি করা হয়। সেখানে গত বছর ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি উপস্থিত ছিলেন। ১৪ একত্বর থেকে গা ঢাকা দেন তিনি। আরিফুজ্জামান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত অভিযুক্ত। ওই মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৩০। এছাড়া একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান।
এসসি/জিএইচ