আবহাওয়ার সংকটে বিপন্ন শিক্ষা, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারত ও বাংলাদেশ
আবহাওয়ার সংকটের প্রভাব পড়ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভারত, বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বাচ্চারা। রিপোর্ট ইউনিসেফের।
ভয়ংকর আবহাওয়ার কারণে
ভয়ংকর গরম, প্রবল বৃষ্টি বা শৈত্যপ্রবাহের ফলে ২০২৪ সালে বিশ্বের ৮৫টি দেশের ২৪ কোটি ২০ লাখ বাচ্চার শিক্ষায় পড়েছে। তারা স্কুলে যেতে পারেনি। বিশ্বের প্রতি সাতজন বাচ্চার মধ্যে একজন তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঝড় বা শৈত্যপ্রবাহ বা এই ধরনের চরম আবহাওয়ার জন্য স্কুল যেতে পারেনি। শুক্রবার প্রকাশিত ইউনিসেফের রিপোর্ট থেকে এই তথ্য উঠে আসছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আছে ভারত ও বাংলাদেশ
রিপোর্ট অনুসারে ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন্স, কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলির বাচ্চারাচরম আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে। শুধুমাত্র এপ্রিলেই ১১ কোটি ৮০ লাখ বাচ্চার শিক্ষা এর ফলে প্রভাবিত হয়েছে।
ভারতে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ কোটি ৪০ লাখ বাচ্চা
ভারতে প্রবল তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির কারণে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ বাচ্চার শিক্ষা প্রভাবিত হয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ চলে। আবার প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে যায় চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই-সহ বেশ কয়েকটি শহর। হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মেঘফাটা বৃষ্টির কারণে চকিত বন্যা হয়। আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা ভয়াবহ আকার নেয়।
বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত তিন কোটি ৫০ লাখ বাচ্চা
বাংলাদেশের বাচ্চাদের পড়া মূলত তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের তিন কোটি ৫০ লাখ বাচ্চার পড়াশুনো তীব্র আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির ৭৪ শতাংশ বাচ্চাই মধ্য ও নিম্ন আয়ের পরিবারের।
পূর্ব এশিয়ায় ঘূর্ণিঝড়
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি গত সেপ্টেম্বরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির কবলে পড়ে। ফলে বিশাল এলাকা জলের তলায় চলে যায়। বাচ্চাদের শিক্ষা ভয়ংকরভাবে প্রভাবিত হয়।
আফ্রিকার অবস্থা
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কয়েক মাস ধরে চলা খরার কারণে এবং কিছু দেশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির ফলে বাচ্চাদের শিক্ষা খুবই প্রভাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়েছে মায়োটে। মোজাম্বিকে একই কারণে ৩৩০টি স্কুল ভেঙে গেছে।
ইউনিসেফের বক্তব্য
ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাথারিন রাসেল বলেছেন, খারাপ আবহাওয়ার বিপুল প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের উপর। অথচ, আমরা নীতি নির্ধারণের সময় এই দিকটা অবহেলা করি। ভয়ংকর গরমে বাচ্চারা স্কুলের পড়ায় মনোনিবেশ করতে পারে না। প্রবল বৃষ্টিতে তারা স্কুলে যেতে পারে না। চরম আবহাওয়ায় তাদের শরীর খারাপ হয়।