আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবে ‘আক্রমণাত্মক' মশা
২ নভেম্বর ২০২২বিজ্ঞানীদের মতে, এ বছর ইথেওপিয়াতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের পেছনেও এই মশাই দায়ী৷ দেশটির ডায়ার দাওয়া শহরে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷ ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে যার সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৪০০, যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ২০৫৷
একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে বের করেছেন যে, ‘অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি' প্রজাতির মশা ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে৷ এ ধরনের মশা সাধারণত ইন্ডিয়া ও ইরানে দেখা যায়৷ তবে ২০১২ সালে জিবুতিতে এর সন্ধান মেলে৷ পরবর্তীতে, প্রতিবেশী ইথেওপিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়াতেও এই প্রজাতির মশা প্লাওয়া যায়৷
এই প্রজাতির মশা কেন অনন্য?
নেটিভ আফ্রিকান মশা সাধারণত গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করে কিন্তু আক্রমণাত্মক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি দূষিত শহরগুলিতে ছড়ায়৷
এই প্রজাতির মশা বালতি এবং খোলা পানির ট্যাঙ্কেও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে৷ এর মানে হল, এটি শুষ্ক মৌসুমে বেঁচে থাকতে পারে৷ আর যে কারনেই অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি প্রজাতির মশা অনন্য৷
আফ্রিকান অন্য দেশগুলোও হুমকিতে
গবেষকদের আশঙ্কা, এই মশা আফ্রিকান দেশগুলোর জন্যেও হুমকি তৈরি করেছে৷ ২০২০ সালে পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটেছে ঐ অঞ্চলে৷ ২০২০ সালে বিশ্বে ছয় লাখ ২৭ হাজার মানুষ এই রোগে মারা যায়৷
"এটা খুবই আতঙ্কের,” বলছিলেন একজন বিজ্ঞানী৷
একেএ/কেএম