আফগানিস্তানে দুর্নীতি দমনসহ আরো সংস্কারের ডাক ক্লিন্টনের
১৫ নভেম্বর ২০০৯রবিবার এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লিন্টন বলেন, ‘‘নির্বাচনের পর এবার মানুষের প্রয়োজন মেটাতে আফগান প্রশাসনের আন্তরিকতার স্পষ্ট প্রমাণ দেখানোর সময় এসে গেছে৷ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কাজ করে দেখাতে হবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানকে যে পরিমাণ শ্রম ও সম্পদ প্রদানের প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তা যেন সঠিকমাত্রায় কাজে লাগে তার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷''
ক্লিন্টন বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই এই বার্তা দিয়েছি যে, নির্বাচন শেষ হয়েছে৷ এখন জনগণের দাবি ও চাহিদা পূরণে নতুন সরকারকে সুস্পষ্ট কাজের নমুনা দেখাতে হবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ সময় আফগানিস্তানে থাকতে আগ্রহী নই৷ আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই যে, সেখানে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের কোন পরিকল্পনা নেই৷'' ক্লিন্টন বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আল কায়েদাকে পরাস্ত করা৷ এছাড়া আমরা এটাও বুঝি যে, তালিবানের বিরুদ্ধে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আফগান জনগণও সহযোগিতা চায়৷''
তিনি বলেন, ‘‘সেখানকার জনগণের এই চাহিদার প্রতি আমাদের সহযোগিতা থাকলেও আমাদের প্রধান দায়বদ্ধতা হচ্ছে আমেরিকার জনগণের প্রতি৷ তাই আমাদের মুখ্য দৃষ্টি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা৷ কীভাবে আমরা ভবিষ্যতের যে কোন হামলা থেকে নিজেদের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি? আফগানিস্তান আবারও সন্ত্রাসের কারখানা এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হোক আমরা সেটা কখনই মেনে নেবনা৷ তাই সেদেশের প্রেসিডেন্টকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং কাজ করে দেখাতে হবে কীভাবে এটা সম্ভব,'' বলেন ক্লিন্টন৷ ‘‘আফগানিস্তানে আরো বেশি মার্কিন সৈন্য পাঠানো হবে কি না - এ বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'' – প্রেসিডেন্ট ওবামার এমন বক্তব্যের দু'দিন পরেই ক্লিন্টনের এসব হুঁশিয়ারি শোনা গেল রবিবার৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন