আফগানিস্তানে কুইক রিঅ্যাকশান ফোর্সের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে জার্মানি
৩০ জুন ২০০৮২০০২ সালে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পর জার্মানি তাতে প্রথমেই সাড়ে আটশ সেনা পাঠিয়েছিল৷ সেখানে এখন জার্মান সৈন্যের সংখ্যা তিন হাজার পাচ'শ৷ সম্প্রতি ন্যাটোর অনুরোধে সেখানে আরও এক হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি৷ ঠিক এই মূহুর্তেই আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন বাহিনীর প্রধান মার্কিন জেনারেল ডান ম্যাকনেইল জার্মান পত্রিকায় সাক্ষাতকারে বলেছেন, সমস্যা সঙ্কুল উত্তর আফগানিস্তানের কুইক রিঅ্যাকশান ফোর্সের নিয়ন্ত্রণ এখন জার্মানি কে নিতে হবে৷ সে অনুরোধও আমরা জানিয়ে দিয়েছি৷ তিনি বলেন, জুলাই মাস থেকে এই নেতৃত্ব দেবার কাজ করতে হবে৷ আর এ জন্য জার্মান বাহিনীর ২০০ সদস্যকে এই বাহিনীতে কাজ করতে হবে৷ জার্মানি এতে রাজী হয়েছে৷
যে কোন সময় যে কোন ঘটনা ঘটার পরই দ্রুততম সময়ের মধ্যে চরম অ্যাকশনে যেতে হয় যে বাহিনীকে সেটিই হলো - কুইক রিঅ্যাকশান ফোর্স৷ ন্যাটো কোয়ালিশন বাহিনীর প্রধান ম্যাকনেইল বলেন, উত্তর আফগানিস্তানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য এই ফোর্সকে এগিয়ে আসতে হবে৷ আর তাই আমরা জার্মানির কাছে ২০০ চৌকস সেনা চেয়েছি৷
শুরু থেকেই ন্যাটোর নেতৃত্বে তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে জার্মান বাহিনী৷ আর ন্যাটো কোয়ালিশন বাহিনীকে সহায়তা দেয়ার জন্য গত বছর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বিমান দিয়েছে জার্মানি ৷ কোয়ালিশন বাহিনীর আফগান মিশন শুরু হয় মাত্র ৫ হাজার সৈন্য দিয়ে৷ এ সংখ্যা এখন দাড়িয়েছে ৫২ হাজারে৷ ৪০টি দেশের নারী ও পুরুষ সৈনিক রয়েছে এই বাহিনীতে৷ আর নেতৃত্বে থাকা মার্কিন বাহিনীর রয়েছে আরও ১৩ হাজার সেনা৷ প্রথমে জাতিসংঘের আহবানে কেবল রাজধানী কাবুলের নিরাপত্তার জন্য কোয়ালিশন বাহিনী সেখানে ঘাটি গেড়েছিল৷ কিন্তু আজ তারা ছড়িয়ে পড়েছে সারা আফগানিস্তানে৷ শুরুতে শান্তি রক্ষা মিশন এর কাজ করার কথা থাকলে এখন প্রতিদিন তালেবান যোদ্ধাদের বিরদ্ধে যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে এই বাহিনীকে৷
প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও থেকে সেনা তালেবান এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খরব পাওয়া যাচ্ছে৷ ন্যাটো কোয়ালিশন বাহিনীর উপর যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে৷ ২০০৩ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটে ছিল মাত্র দুটি৷ কিন্তু এখন সেই ঘটনা বেড়ে গেছে৷ ২০০৭ সালে ঘটেছে ১৬০টি৷ সব মিলিয়ে কেবল গত বছর যুদ্ধে মারা গেছে প্রায় আট হাজার মানুষ৷ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ কবে এই যুদ্ধের অবসান হবে,সেই দিনের অপেক্ষায় আছেন৷