আপাতত প্রতীকী বিক্ষোভ, শিক্ষকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন
২৫ এপ্রিল ২০২৫সোমবারও সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। মাঝে কেটেছে চারদিন। শুক্রবার থেকে তারা ধর্মতলার শহীদ মিনারে অবস্থান করবেন। তবে এসএসসি-র সামনে যারা অবস্থান করছিলেন, তাদের অনেকেই সেখানে থাকবেন না। এসএসসি ভবনের অনতিদূরে চাকরিহারা এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-এর কর্মচারীরা অবস্থান বিক্ষোভ এখনো চলছে।
স্কুলে যোগদান
শুধু স্থান পরিবররতন নয়। অবস্থানরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনেকেই কাজ যোগ দেবেন। হালিশহর আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তিনি সোমবার থেকে তার স্কুলে যাবেন। তবে অবস্থান উঠছে না বলেই জানান তিনি। "এখন থেকে আমরা পালা করে অবস্থান চালাব। আমি সোমবার থেকে স্কুলে যাব। গরমের ছুটি শুরু ৩০ এপ্রিল। তখন থেকে আমরা আমাদের প্রতিবাদের ঝাঁঝ বাড়াব।"
সোমবার থেকে আচার্য ভবনের সামনে অবস্থানে ছিলেন ইলিয়াস বিশ্বাস। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে নিজের স্কুলে যোগ দিয়েছেন। ডিডাব্লিউএর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান এই মুহূর্তে সরকারের রিভিউ পিটিশানে ভরসা রাখছেন। "আর তো কোনো উপায় নেই আমাদের। রিভিউ পিটিশানে কী হয় দেখি। আপাতত স্কুলে যাচ্ছি। গরমের ছুটি শুরু হবে। তার মধ্যে আমরা আবার পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের এই অবস্থার জন্যও সরকারকেই দায়ি করতে হয়। জানিনা এই দুর্ভোগ কবে মিটবে।"
তবে এই সরকারের এই রিভিউ পিটিশানের আগে এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে বসতে হবে বলে দাবি প্রতিবাদীদের। চিন্ময় বলেন, "রিভিউ পিটিশানের উপর আস্থা রাখতে পারবও তখনই যখন সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করবেন।"
কী হয়েছিল?
যোগ্য -অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবার থেকে অবস্থানে বসেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। এসএসসির চেয়ার সিদ্ধার্থ মজুমদার সহ একাধিক অধিকর্তাদের আচার্য সদনে ঘেরাও করে তাদের প্রতিবাদ আন্দোলন চালান। এর মধ্যে অযোগ্য নয় এমন একটি তালিকা ডিআই অফিসে পাঠায় দপ্তর। তার মধ্যেও ব্যাপক গোলমাল আছে বলে দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। এমনকী চিন্ময়ও মণ্ডলের নামও ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে। কমিশান এর পরে নিজেদের ত্রুটি স্বীকার করে।
এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যোগ্য অর্থাৎ আনটেইন্টেড শিক্ষক এবং শিক্ষারারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং মাইনে পাবেন।
এসসি/জিএইচ